পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। এজন্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দিতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।’ রোববার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া।
নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং ইভিএম বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেনা মোতায়েন করতে হবে। শুধু সেনা মোতায়েন নয়, তাদের ম্যজিস্ট্রেসি পাওয়ারও দিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, এরা ক্ষমতায় থেকে জনগণকে যেমন ভয় পাচ্ছে, তেমনি বিভিন্ন দল বিশেষ করে বিএনপিকে ভয় পায়। যার কারণে আজকের সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, এরা যে এত ছোট মনের, আজকে তারা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রমাণ করে দিয়েছে। এত ছোট মন নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। এরা মানুষকে ভয় পায়। এজন্য ৭ নভেম্বর আমাদের জনসভা করতে দেয়নি। আজকে অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু জনগণ যেন আসতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করেছে। গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। বাইরের জেলার মানুষ যেন না আসতে পারে। রাজধানীর হোটেলগুলোতে অভিযান চালিয়েছে। অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তিনি আরও বলেন, এমনকি আমিও যেন সমাবেশে আসতে না পারি সেই ব্যবস্থাও করেছে। আমি বাসা থেকে বের হয়ে দেখি রাস্তায় খালি বাস রেখে দিয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রে মতপার্থক্য থাকবেই, দেশের কল্যাণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিকাল সোয়া ৩টার দিকে সমাবেশস্থলে আসেন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ ১৯ মাস পরে রাজধানীর কোনো সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুপুর ২টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। ওলামা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল মালেক কোরআন তেলাওয়াত করেন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজকের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্ব করছেন। এতে আরও উপস্থিত আছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।
এদিকে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দীমুখী নেতাকর্মীদের ঢল শুরু হয়। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে তারা অবস্থান নেন। তবে সমাবেশে অংশ নিতে এসে পথে পথে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশ সফল না হওয়ার জন্য ব্যাপক ধর-পাকড় হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।
এছাড়া সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই রাস্তায় গণপরিবহন কমিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেন নেতাকর্মীরা। ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা থেকে ঢাকামুখী বাসও বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।