মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) নিয়ে আপত্তি এড়ানো এবং ট্রিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের সুবিধা নিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) নিয়ে বিরোধ অবসান করার জন্য চীন ও ভারতের প্রতি রাশিয়ার আহ্বান জানানোর এক দিন পর তিনি এ আহ্বান জানান। চীন জানায়, এই উদ্যোগের প্রতি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে। রাশিয়ার উদ্যোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, বিআরআই নিয়ে ভারত বেশ দ্বিধাগ্রস্ত। আমরা বিআরআইয়ের ব্যাপারে উন্মুক্ত। বিআরআইজুড়ে থাকা দেশগুলোর জন্য প্রকল্পটি অনেক কল্যাণ বয়ে আনবে। আমরা অনেকবার বলেছি, সিপিইসি করিডোর একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা। এটা তৃতীয় কোনো দেশকে টার্গেট করে করা হয়নি। এতে ভূখন্ডগত কোনো বিরোধ সম্পৃক্ত নয়। গত মে মাসে বেইজিংয়ে বিআরআই শীর্ষ সম্মেলন যে কয়েকটি দেশ বয়কট করেছিল, তার অন্যতম ছিল ভারত। এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপকে স্থল ও নৌপথে সংযুক্ত করার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা হলো বিআরআই। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মে মাসে জানিয়েছিল, কোনো দেশই তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখন্ডতার মতো মূল বিষয় অগ্রাহ্য করে ওবিওআর, সিপিইসিতে যোগ দিতে পারে না। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদ্য সমাপ্ত ১৯তম জাতীয় কংগ্রেসে বিআরআইকে অন্যতম ভবিষ্যত লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিআরআইকে চীনা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করাটা ছোট কোনো বিষয় নয়, বিশেষ করে সিপিইসি নিয়ে ভারত ও চীনের বিরোধের প্রেক্ষাপটে। জেএনইউ’র স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক ড. শরন সিং বলেন, চীনা সংবিধানে বিআরআইয়ের অন্তর্ভুক্তির অর্থ হলো তারা আরো প্রবলভাবে এটা বাস্তবায়ন করতে চাইবে। আমাদের বুঝতে হবে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে তার ক্ষমতা আরো সুসংহত করেছেন। তার নাম এখন মাও সে তুং এবং দেং জিয়াও পিংয়ের কাতারে স্থান পেয়েছে। ভারত পুরোপুরি বিআরআইয়ের বাইরে নয়। তারা মেগা-অবকাঠামো প্রকল্পটির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন আলোচনা ও ওয়ার্কিং গ্রæপে অংশ নিচ্ছে। তবে সিপিইসি নিয়ে তার আপত্তি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে। এই প্রকল্পটি গিলগিট-বাল্টিস্তান দিয়ে গেছে। এই স্থান নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। শরন সিং বলেন, চীনের জোরালো ঘোষণা সত্তে¡ও বাস্তবতা হলো অর্থনৈতিক করিডোরটি গেছে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর দিয়ে এবং একে বলা হচ্ছে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর। এটাই বেইজিংয়ের অবস্থান বদলে দিচ্ছে। সিনহুয়া, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।