মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাখাইনে বেসামরিক প্রশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন নিশ্চিত, মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার ও দায় পূরণে মিয়ানমার সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর বলপ্রয়োগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। রোহিঙ্গা সঙ্কটের অবসানে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স গত সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাসের উদ্যোগ নিলেও রাশিয়া ও চীনের কারণে তা শেষ পর্যন্ত বাদ দেয়া হয়। এর বদলে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতভাবে একটি বিবৃতি দেয়, যেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে- রাখাইন রাজ্যে যাতে সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধ করা হয়, মিয়ানমার সরকারের প্রতি সেই আহ্বান জানাচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ। সেই সঙ্গে রাখাইনে বেসামরিক প্রশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে এবং মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার ও দায় পূরণে মিয়ানমার সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের ওই রাজ্যে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর গত ২৫ আগস্ট থেকে সোয়া ছয় লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়েছে। গত দশ সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে ওই সহিংসতাকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে চিহ্নিত করে এর সমালোচনা করে আসছে জাতিসংঘ। তবে মিয়ানমার সরকার কোনো ধরনের জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিশ্চিত করে সকল নাগরিককে রক্ষা করা যে রাষ্ট্রের দায়িত্ব, সে কথাও মিয়ানমার সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। সেই সঙ্গে রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে মিয়ানমার সরকারের প্রতি। মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে রাখাইনের ওই অঞ্চলে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। সেখানে সাংবাদিকদের যাওয়ারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। সহিংসতা শুরুর দুই মাসেরও বেশি সময় পর গত ২ নভেম্বর রাখাইনের ওই অঞ্চলে গিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ‘বিবাদ বন্ধের’ আহ্বান জানান। তিনি বলে আসছেন, যারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তারা রাখাইনে বসবাসের প্রমাণ দেখাতে পারলেই মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নেবে। অন্যদিকে রাখাইনে মানবিক সঙ্কট এবং শরণার্থীর স্রোত বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, এই পরিস্থিতি পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। রাখাইনে অবিলম্বে নির্বিঘেœ মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর এবং সাংবাদিকদের সেখানে যাওয়ার সুযোগ দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের এই সংস্থা। পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ৩০ দিন পর মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। রয়টার্স, বিবিসি, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।