হেমন্তের কার্তিক মাস যতই শেষের দিকে গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে মৃদুমন্দ শীতের অনুভূতি। গতকালও (সোমবার) দেশের বেশিরভাগ জায়গায় দিনের বেলায় প্রখর রোদে বেশ গরম পড়ে। তবে মাঝরাত থেকে সকাল অবধি হালকা শীত অনুভূত হয়। প্রায় সর্বত্র হালকা কুয়াশা ঝরছে ভোরবেলায়। গাছের পাতায় পাতায় মুক্তার মতো জমাট বাঁধা শিশিরবিন্দু জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী। তাপমাত্রা আরও হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ময়মনসিংহ ও সিলেটে ৩৩.৭ ডিগ্রি সে.। ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৩ ও ২১.৬ ডিগ্রি সে.। এ সময় দেশে একমাত্র বৃষ্টিপাত হয় খেপুপাড়ায় ৩ মিলিমিটার।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমি স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সে. কমে যেতে পারে। আর দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অকাল বৃষ্টি হলে শীত এগিয়ে আসবে পায়ে পায়ে।
বর্ষায় ও বর্ষা শেষে এ বছর অতিবৃষ্টি, ভ্যাপসা টানা গরমের পর এখন চলছে আবহাওয়ারাজ্যে পালাবদল। এ সময়ে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি রোগ-ব্যাধির প্রকোপ দেখা দিচ্ছে বিক্ষিপ্তভাবে।