মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মুম্বাইয়ের একজন তরুণ পাইলট আমোল যাদবের স্বপ্ন অনেক বড়। আজ থেকে সাত বছর আগে আমোল একদিন তার পরিবার আর বন্ধুদের কাছে ঘোষণা করলেন যে, তিনি একটা উড়োজাহাজ বানাবেন। তাও আবার বাড়ির ছাদে। তার এই সংকল্পে সন্দিহান বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা প্রশ্ন করলেন,যদি উড়োজাহাজ বানিয়েও ফেল তবে সেটা ছাদ থেকে নামাবে কীভাবে?
আমোল উত্তর দিলেন, তা তো জানি না। ১৯ সদস্যের যাদব পরিবারের বাস মুম্বাইয়ের এক পাঁচতলা বাড়িতে,যে বাড়িতে কোন লিফট নাই। ফলে যত যন্ত্রপাতি - লেদ মেশিন,কমপ্রেসর,ঝালাই এর মেশিন এবং একটা ১৮০ কেজি ওজনের ইঞ্জিনসহ সবকিছু বাড়ির সরু সিঁড়ি বেয়ে উঠলেন ছয় তলার ছাদের ওপর। শুরু করে দিলেন উড়োজাহাজের কাজ। একটা টেনিস কোর্টের অর্ধেকেরও ছোট মাপের সেই ছাদে নিজের দলবল নিয়ে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা নির্বিশেষে কাজ করেছেন মি: আমোল। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবশেষে তৈরি হলো তার ৬ আসনের সত্যিকারের উড়োজাহাজ।
আমোল বলেন, তার এই উড়োজাহাজের ইঞ্জিন এত শক্তিশালী যে সে প্রায় ৩,৯২০ মিটার(১৩ হাজার ফিট) উঁচুতে উঠতে পারে। একবারে প্রায় ২ হাজার কিমি দূরত্ব পার হবার মতো জ্বালানী রাখা যায় এর ট্যাংকে।
এরপর আমাদের কাজ ছিল প্লেনটাকে মাটিতে নামিয়ে আনা আর সবাইকে দেখানো, ৪১ বছর বয়স্ক আমোল বলেন। ভারত সরকার সে সময় মেক ইন ইন্ডিয়া নামে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করে যেখানে আমোল তার উড়োজাহাজ দেখানোর আবেদন করেন আয়োজকদের কাছে। কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি। আয়োজকরা বলেছিলেন এ উড়োজাহাজটি প্রদর্শনের মতো যথেষ্ট জায়গা নেই।
অতঃপর ভাইদের সহায়তায় নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে কথা বলে, ঘরে বানানো উড়োজাহাজের উপকারিতা বিষয়ে আলোচনা করে বান্দ্রার কনভেনশন মাঠে একটু জায়গা জোগাড় করেন আমোল। এবার সেই প্লেন মাঠে পৌঁছাতে হবে তো! তো সেই উড়োজাহাজের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুলে আলাদা করে নিয়ে রাস্তায় নামানো হলো। সেখানে দুটো ট্রাক অপেক্ষা করছিল। সেখান থেকে ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো প্রদর্শনীর মাঠে এবং তারপর আবার জোড়া লাগানো হলো। কয়েক ঘণ্টা পর প্রদর্শনী শুরু হলে কৌতূহলী দর্শকরা ভিড় করে আমোলের ঘরে বানানো উড়োজাহাজের কাছে এবং সেই ভিড়ে যুক্ত হয় ভারতের বিমান চলাচল মন্ত্রী ও বড় বড় রাঘব-বোয়াল নেতা আর ব্যবসায়ীরা। আর এর সাথে সাথেই আমোল যাদবের উড়োজাহাজ হয়ে উঠলো গৃহ হতে মুক্ত এবং জনপ্রিয়।
আমোল বলেন, ভারতের প্রথম নিজস্ব উড়োজাহাজ বানাতে প্রস্তুত তিনি। বিনিয়োগকারীরাও যথেষ্ট উৎসাহী বলে জানান তিনি। স্থানীয় বিজেপি সরকার ১৯ আসন-ওয়ালা উড়োজাহাজ বানাতে কারখানা স্থাপনের জন্য ১৫৭ একর জমি বরাদ্দ করবে বলে জানিয়েছে। তবে ভারতের প্রথম বিমান নির্মাতা হবার পথে আমোলের সামনে এখন একটাই বাধা।
স্থানীয় সরকার, এমপি আর প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অনুরোধ সত্তে¡ও ভারতের আকাশপথ রেগুলেটরি গত ছবছর ধরে আমোলের এই বিমানকে উড়ন ক্ষমতার সার্টিফিকেট দিতে দ্বিধাগ্রস্ত। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বলছে, সিভিল এভিয়েশন অথোরিটিকে এ বিষয়ে নকশার মাণ এবং অপেশাদার-নির্মিত যাত্রীবাহী বিমানকে আরও উন্নত করতে হবে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।