পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজের জীবন বিপন্ন করে ১২৪ যাত্রীকে বাঁচিয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। ওমানের মাস্কাট থেকে ঢাকায় ফেরার পথে মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম এখন লাইফ সাপোর্টে।
গতকাল রোববার ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। কোনো কোনো অনলাইন পোর্টালও পরিবারের বরাত দিয়ে মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ করে। ক্যাপ্টেন নওশাদের খবর সম্পর্কে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার ইনকিলাবকে বলেন, পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন। আকাশে বসে অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গেই পাইলট কাইয়ুম কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময়ে তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়ো জাহাজটির ১২৪ জন যাত্রীর প্রত্যেকেই নিরাপদে ছিলেন। জরুরি অবতরণের পর পাইলট নওশাদকে নাগপুরের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার এনজিওগ্রাম করা হয় বলেও জানান তাহেরা খন্দকার।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভির আহমেদ জানান, তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। চিকিৎসকরা তাকে এখনো মৃত ঘোষণা করেননি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমের ভেন্টিলেশন সাপোর্ট খুলে নেওয়া হবে কি-না সে বিষয়ে মেডিক্যাল টিম সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি (নওশাদ আতাউল কাইউম) একজন দক্ষ পাইলট। কার্ডিয়াক এরেস্ট হওয়া সত্তে¡ও তিনি দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। তার প্রেসার হাই হয়ে যাওয়ায় মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিমানের বিজি-২২ ফ্লাইটটি ওমান যায়। সেখান থেকে স্থানীয় সময় রাত ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার কথা থাকলেও ফ্লাইটটি ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তবে পাইলটের অসুস্থতাজনিত কারণে ঢাকার দিকে না এসে ভারতের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটটি নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আকাশে থাকা অবস্থায় পাইলট নওশাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার সহকারী জরুরি ভিত্তিতে কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বিমানটিকে নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।