পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। এ জন্য সমাবেশের অনুমতি চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে প্রশাসনে চিঠি পাঠানোর কথা জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আগামী ৮ নভেম্বর আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছি। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আমরা সেখানে এই সমাবেশ করব।
রিজভী বলেন, ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন নিয়ে প্রস্তুতি সভা করছে। আমরা আশা করি, ৭ নভেম্বরের ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি সফল হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া থাকবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে রিজভী বলেন, আমরা বড় সমাবেশ করব, ম্যাডাম থাকবেন কিনা এটা পরে জানানো হবে।
পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাÐের পর টালমাটাল পরিস্থিতিতে ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে গৃহবন্দি হওয়ার পর জাসদের খালেদ কর্ণেল তাহেরের সহায়তায় পাল্টা অভ্যুত্থানে তৎকালীন সেনা প্রধান জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর মুক্ত হন। এর মধ্য দিয়ে জিয়া ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন এবং হন দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক। পরে সামরিক আইন প্রশাসক থেকে প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গঠন করেন। তিনি সে সময় বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন।
বর্তমানে আওয়ামী লীগের জোটশরিক জাসদ এই দিনটিকে ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান’ দিবস হিসেবে পালন করে। আওয়ামী লীগ পালন করে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে এবং বিএনপি পালন করে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’।
৭ নভেম্বর উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে দলের যৌথ সভায় ৫ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ওই কর্মসূচিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কোনো কর্মসূচি ছিল না। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, কেন্দ্রীয় নেতা সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।