পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান বিশ্বাস গতকাল শুক্রবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। তার মেঝ ছেলে মাহমুদ হাসান বিশ্বাসের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় বনানীর গ্র্যান্ড প্রেসিডেন্ট প্যালেস বাসভবন থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান বিশ্বাসকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান বিশ্বাসের ইন্তেকালের খবরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকে খবর পেয়েই ইউনাইটেড হাসপাতালে আবার কেউ কেউ মরহুমের বনানীর বাসায় ছুটে যান।
ওদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান বিশ্বাসের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ার পারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতরাতে মরহুম প্রেসিডেন্টের ইন্তেকালের খবর পেয়ে বেগম খালেদা জিয়া মরহূমের রূহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯২৬ সালে ১ সেপ্টেম্বর আবদুর রহমান বিশ্বাস বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক (সম্মান) ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫০-এর দশকে আইন পেশায় যোগ দেন তিনি। এরপর ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৬৭ সালে আবদুর রহমান বিশ্বাস পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের ২২তম অধিবেশনে যোগ দেন।
১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বরিশাল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯-৮০ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় পাটমন্ত্রী ও ১৯৮১-৮২ সালে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১ সালের ৪ এপ্রিল তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ৮ অক্টোবর তার মেয়াদ শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।