Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দালালমুক্ত পরিবেশে পাসপোর্ট ডেলিভারি, নেই কোনো গ্রাহক ভোগান্তি

কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ছয় কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

| প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার : দালাল মুক্ত পরিবেশে পাসর্পোট ডেলিভারী ও রাজস্ব আদায়ে এগিয়ে রয়েছে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসর্পোট অফিস। গত অর্থ বছরে ছয় কোটি টাকার বেশী রাজস্ব আয় করে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসর্পোট অফিস রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এই সময়ে পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছে প্রায় অর্ধ লক্ষ। এখানে দালাল মুক্ত পরিবেশে ভোগান্তি ছাড়া পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন গ্রাহকরা। এতে করে পাসপোর্ট গ্রাহকের সাথে সাথে বেড়েছে রাজস্বও। গত দশ বছরে এই রেকর্ড সর্বো”” বলে জানা গেছে।
গতকাল কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। নেই আগের সেই জটলা ও অনাহুত মানুষজনের হৈহুল্লা ও ঘুরাঘুরি। গেইট থেকে শুরু করে তিন তলা পাসপোর্ট ভবনের কোথাও নেই কোন অনাহুত মানুষজনের জটলা বা ঘুরাফেরা। ফরম জমাদিতে অথবা পাসপোর্ট গ্রহণ করতে লাইনে দাঁড়িয়েছে শত শত নারী-পুরুষ। তাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, কোন মাধ্যম ছাড়াই তারা নিজেরা নিজেদের পাসপোর্ট করতে লাইলে দাঁড়িয়েছেন। পাসপোর্ট গ্রহণ করতে আসা কয়েকজন জানান, কোন ধরণের ভোগান্তি ছাড়াই তারা পাসপোর্ট পাচ্ছেন। এখন কোন ভোগান্তি নেই। সরাসরি যোগাযোগ করে তারা পাসপোর্ট নিচ্ছেন।
এসময় কথা হয় কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুমের সাথে। তিনি জানান, গত দেড় বছর আগে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যোগদানের পর থেকে পাসপোর্ট অফিসে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে, দালালমুক্ত রাখতে এবং রাজস্ব বাড়াতে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এক্ষেত্রে তিনি জনগণকে সচেতন করতে জেলার ৮ উপজেলায় মাইকিং ও প্রচারপত্র বিলি করেছেন। অফিসে গেইট থেকে সহকারী পরিচালক পর্যন্ত গ্রাহকদের সহজ বিচরণের ব্যবস্থাও করেছেন। অফিসে পাসপোর্টের আবেদনকারী ছাড়া অন্য কারো প্রবেশ সীমিত করেছেন। তিনি জানান, এতে ভাল ফল পাওয়া গেছে। একদিকে গ্রাহকরা ভোগান্তি মুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে সরকারী রাজস্বও বেড়েছে অনেক। দেখাগেছে, এই প্রতিবেদক যখন সহকারী পরিচালকের সাথে তাঁর অফিস কক্ষে কথা বলার সময় বেশ কয়েকজন আবেদনকারী বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাঁর সাথে কথা বলছিলেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানে তিনি উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। এদিকে গতকালও ভুয়া জন্ম সনদ বানিয়ে জালিয়াতি করে পাসপোর্ট আবেদনকারী দুই মহিলাকে পুলিশে দেয়া হয়েছে এই প্রতিবেদকের সামনে। ওই দুই মহিলার নাম ছেনুয়ারা ও তৈয়্যবা বেগম। এদের বাড়ি উখিয়া উপজেলার রুমখা পালং এলাকায় বলে জানাগেছে।



 

Show all comments
  • Abdulkarim ২ নভেম্বর, ২০১৭, ৩:৪০ পিএম says : 0
    very good news, it may be work as an example for every passport office around all over Bangladesh,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ