Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনুপ্রেরণায় ভুটান ম্যাচ

মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এএফসি অনুর্ধ্ব-১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে স্বাগতিক তাজিকিস্তানকে রুখে দিয়ে এখন ফুরফুরে মেজাজেই রয়েছে বাংলাদেশ যুব দল। টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রæপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গোলশূণ্য ড্র করে তাজিকদের কাছ থেকে পয়েন্ট কেড়ে নেয়ায় উজ্জীবিত লাল-সবুজরা। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় আশা করছে তারা। তাজিকিস্তানের দুসনাবেতে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ ম্যাচটি। এ ম্যাচে জয় পেলে পরের রাউন্ডের পথে বেশ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। তাজিকিস্তানের মতো ড্র নয় জয় পেয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে চায় বাংলাদেশের যুবারা।
এ চাওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ ভুটানে সদ্য সমাপ্ত সাফ অনুর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে এই মালদ্বীপকেই ২-০ গোলে হারিয়েছিলো লাল-সবুজরা। জয়ের এ ধারা তাজিকিস্তানেও ধরে রাখতে চান বাংলাদেশ দলের কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি ও টুটুল হোসেন বাদশাহ। ম্যাচের আগে গতকাল রক্সি বলেন, ‘আমার ছেলেরা প্রথম ম্যাচে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। তারা শক্তিশালী তাজিকিস্তানের বিপক্ষে আক্রমণাতœক ফুটবল খেলে গোলশূণ্য ড্র করেছে। ম্যাচে গোল করার সুযোগ পেয়েও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তা না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতাম। তাজিকিস্তানও সুযোগ নষ্ট করেছে। তবে আমি সন্তুষ্ট স্বাগতিকদের বিপক্ষে ড্র করে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আগামীকাল (আজ) দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা মালদ্বীপকে হারাতেই মাঠে নামবো। আর এ প্রেরণা আমার ছেলেরা পাবে ভুটানে সদ্য সমাপ্ত সাফ অনুর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের সুবাদে। আমি মনে করি বাংলাদেশের ফুটবলাররা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলেই তাজিকিস্তানেও মালদ্বীপকে হারাবে।’ অধিনায়ক বাদশাহ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে তাজিকিস্তানের বিপক্ষে ড্র করায় আমাদের আতœবিশ্বাস বেড়ে গেছে। এখন দলের সবারই লক্ষ্য মালদ্বীপকে হারানো। ভুটানে সাফ অনুর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা মালদ্বীপকে ২-০ গোলে হারিয়েছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাজিকিস্তানেও তাদের হারানো সম্ভব। দলের সবাই সুস্থ থাকলেও প্রচন্ড ঠান্ডা এবং বাতাসের কারণে আমাদের কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।’
টুর্নামেন্টে খেলতে ঢাকা ছাড়ার আগে গ্রæপের অন্তত দু’টি ম্যাচে জয়ের প্রত্যাশা ছিলো বাংলাদেশ কোচ ও অধিনায়কের। তবে সবগুলো ম্যাচে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন তারা। যে দুই ম্যাচে জয়ের প্রত্যাশা বাংলাদেশের তার একটি হচ্ছে মালদ্বীপ এবং অন্যটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার এ দুই দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা যেমন হয়েছে, তেমনি জেতারও। সেই তুলনায় তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানের বিপক্ষে সেভাবে ম্যাচ খেলা কিংবা জেতার রেকর্ড নেই। সর্বশেষ গত বছর বাংলাদেশ জাতীয় দলও তাজিকদের মাঠে ৫-০ গোলে হেরে জাতিকে লজ্জা দিয়েছে। সেই তুলনায় বয়সভিত্তিক দলের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক। ভুড়ি ভুড়ি গোল হজম করতে হয়নি। উল্টো গোলশূন্য ড্র করে তাজিকদের বিপক্ষে এক পয়েন্ট তুলে নিয়েছে বাদশাহ’রা।
যদিও মালদ্বীপের ফুটবল আর আগের অবস্থানে নেই। এক সময় মাঠে নামার আগেই তারা হেরে বসতো। কিন্তু এখন বাংলাদেশের জন্য দ্বীপ দেশটি রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। তবে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে স¤প্রতি দুই দলের যে ম্যাচগুলো হয়েছে সেখানে সুবিধা করতে পারেনি মালদ্বীপ। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৮ এবং এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে দেখা গেছে লড়াকু বাংলাদেশকে। সেপ্টেম্বরে ভুটানে স্মরণীয় এক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশের যুবারা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে তিন গোলে পিছিয়ে থাকার পরও লাল-সবুজরা ম্যাচ জিতেছে ৪-৩ ব্যবধানে। কয়েক মাসের এ পারফরমেন্স আশার মাত্রাও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সাফল্যের ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে পারলেই হলো।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ১০টি গ্রæপে এএফসি অনুর্ধ্ব-১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ‘বি’ গ্রæপে তাজিকিস্তান, মালদ্বীপ ছাড়াও বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ হচ্ছে শক্তিশালী উজবেকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ