Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশ্মীর সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে অবস্থান থেকে সরবে না বেইজিং

আপত্তি ভুলে ‘অঞ্চল ও সড়ক উদ্যোগে’ যোগ দাও-ভারতকে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আপত্তি তুলে নিয়ে উচ্চাভিলাষী ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’ (অঞ্চল ও সড়ক উদ্যোগ)-এ যোগ দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। বেইজিং আবারো বলেছে, এই প্রকল্পের লক্ষ্য অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জন। তাছাড়া কাশ্মীর সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যাপারে চীন তার অবস্থান থেকে সরবে না। গত বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, আমরা স্বেচ্ছায় যোগ দিতে বেল্ট ও রোড উদ্যোগে (বিআরআই) ভারতসহ সব দেশকে স্বাগত জানাই। এই উদ্যোগ চীনের অন্যান্য অবস্থানে কোনো প্রভাব ফেলবে না। বিআরআই অংশগ্রহণকারী সবার জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে। বিআরআইয়ের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরও রয়েছে। এক সিনিয়র সিপিসি (কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না) কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পটির জন্য চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশে ৫৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে এসব বিনিয়োগের একটি বড় অংশ যাবে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির গঠনতন্ত্রেও প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর দিয়ে যাওয়ায় এই চীনা প্রকল্প নিয়ে ভারত আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু চীন বলছে, এটা একটা কানেকটিভিটি প্রকল্প। ভারত গত মে মাসে বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামের সম্মেলন বয়কট করেছিল। বিআরআই-এ চীনের ‘ফ্ল্যাগশিপ’ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার (বিসিআইএম) অর্থনৈতিক করিডোর, নিউ ইউরেশিয়ান ল্যান্ড ব্রিজ, চীন-মঙ্গোলিয়া-রাশিয়া অর্থনৈতিক করিডোর, চীন-ইন্দোচীন পেনিনসুলা অর্থনৈতিক করিডোর, ২১ শতকের সিল্প রোর্ড। ভারতের আপত্তি প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিষয়ক বিভাগের কাউন্সিলর ইয়াও ওয়েন এর আগে বলেছিলেন, ভারত তার দাবিকৃত ভূমি দিয়ে সিপিইসি গেছে বলে এর বিরোধিতা করছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো কারাকোরাম রোড। চীন ও পাকিস্তানের মধ্যকার একমাত্র পথ হলো এটি। ১৯৭০-এর দশকে এর নির্মাণ সমাপ্তি হয়। আমরা আরো সহজে যাতায়াতের জন্য এটি সংস্কার করেছি। আমরা ভারতে আমাদের বন্ধুদের বলে আসছি, বিআরআই ও সিপিইসি কোনো ভূখন্ডগত দাবি নয়। এটা কাশ্মীর প্রশ্নে চীনা অবস্থানে কোনো পরিবর্তন ঘটাবে না। সিনহুয়া, আইএএনএস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ