পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি সারা জীবন ভারতবিরোধী রাজনীতি করে কিন্তু বিপদে পড়লে দলটির ভারতপ্রীতি বেড়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। বিএনপি দ্বৈতনীতির রাজনীতি করে বলেও মন্তব্য তার। তিনি বলেন, দেশে যখন হাওরে দুর্যোগ দেখা দিয়েছিল তখন এবং রোহিঙ্গা সংকটের সময় বিএনপি নেত্রী দেশে না এসে লন্ডনে বসেছিলেন। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে আসার খবর পেয়ে খালেদা জিয়া দেশে চলে এলেন। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বাংলাদেশ আওয়ামী সরকারের উন্নয়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন অনেক অনুনয়-বিনয় করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করা সুযোগ পেয়েছেন। কোনোভাবে তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়ে কথা বলেছেন। সুষমা স্বরাজ তাকে জানিয়ে দিয়েছেন ভারতেও যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তার অধীনেই জাতীয় নির্বাচন হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে তিনি (খালেদা জিয়া) জবাব পেয়ে গেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশেও আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই সংবিধান অনুযায়ী হবে। এই সরকারই নির্বাচনের সময় সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক দৈন্যদশায় ভুগছেন। তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়েও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে অনেক অনুনয়-বিনয় করে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। সেটাও আবার তার কার্যালয়ে নয়, একটি হোটেলে। এতেই বোঝা যায় তিনি (খালেদা জিয়া) কেমন রাজনৈতিক দৈন্যদশায় ভুগছেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের অবস্থান দ্ব্যর্থহীনভাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সমর্থন জানিয়েছেন দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে বিশ্ববাসী আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘ স্থায়ী। অতীতে বাংলাদেশে অনেকবার দেখা দিয়েছে। কিন্তু এবার মিয়ানমারকে বিশ্ববাসী যত চাপ প্রয়োগ করছে অতীতে তা কখনও করেনি। সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে।
সংগঠনের সভাপতি লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।