পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সকল দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। গতকাল (রোববার) রাতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বৈঠকের পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে এই কথা জানান। তিনি বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। তারা (ভারত) চান যে, অন্যান্য দেশগুলো বিশেষ করে প্রতিবেশি দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চা থাকুক এবং গণতান্ত্রিকভাবেই সরকার নির্বাচিত হোক। এখানে নির্বাচন যেন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয় সেটাও তিনি আশা করেন এবং সকল দলের অংশগ্রহণে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হয়, সেটাই তিনি আশা করেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন যেন তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেটাও তিনি আশা করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং এ বিষয়ে যেসব সমস্যা রয়েছে তা তুলে ধরেছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সমস্যাগুলো শুনেছেন। গতকাল রাতে হোটেল সোনারগাঁওয়ের ৮ম তলায় স্যুইটে ভারতের সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। প্রায় ৪৫ মিনিট স্থায়ী বৈঠকে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা সমস্যা, আগামী সংসদ নির্বাচনসহ দ্বি-পক্ষীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠকে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল ছিলেন। এরা হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমান ও সাবিহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন হোটেল লবিতে। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে এই আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় উভয় দেশের যে সম্পর্ক তাকে আরো শক্তিশালী করবার কথা বলা হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের চেয়ারপারসন মূলত দুইটি প্রসঙ্গ আলোচনা করেছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা যেটা আমাদের দেশে বড় সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি এই সংকট সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন যে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হতে হবে। তাদেরকে সাময়িক আশ্রয় দেয়া হয়েছে কিন্তু তাদেরকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং তাদের নিরাপদ একটা অবস্থা তৈরি করতে হবে। এই ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত হয়েছেন এবং বলেছেন, আমরাও এটাই চাই যে, রোহিঙ্গা যারা এখানে (বাংলাদেশ) এসেছে তারা নিরাপদে যাতে দেশে ফিরে যেতে পারে এবং মিয়ানমার সরকারের ওপরে তারা (ভারত) তাদের চাপ অব্যাহত রেখেছেন। গোটা বিশ্বও চাপ অব্যাহত রেখেছে। তারা আশা করেন রোহিঙ্গারা নিরাপদ পরিবেশে তারা দেশে ফিরে সক্ষম হবেন।
এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মধ্যে সর্বশেষ বৈঠকটি হয় ২০১৪ সালের ২৭ জুন। হোটেল সোনারগাঁওয়ে সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে অনুষ্ঠিত সে বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলগীরসহ ৫জন সিনিয়র নেতা অংশ নেন। তারও আগে ২০১২ সালে ভারত সফরকালে সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।