পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টেলিভিশন ক্যামেরায় মুখ দেখানো নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন আইনজীবীদের দুটি পক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। পরে সিনিয়র আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিন আদালতে জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় জামিন নিতে হাজির হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালতের বাইরে বিভিন্ন টেলিভিশনের সাংবাদিকরা সরাসরি স¤প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে খবর আসে খালেদা জিয়ার জামিনের। এরপরই আইনজীবীরা প্রেস ব্রিফিং করতে আসেন। এরপর সামনে দিকে থাকা নিয়ে শুরু হয় আইনজীবীদের মধ্যে হট্রগোল। টিভি ক্যামরার সামনে আসা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন আইনজীবীরা। এসময় অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলমের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জুনিয়র আইনজীবী মির্জা আল মাহমুদের কথাকাটাকাটি হয়। এরপর সিনিয়র আইনজীবী খোরশেদ আলমের সঙ্গে মির্জা আল মাহমুদকে ধাক্কা লাগে। এরপর খোরশেদ আলম মির্জা আল মাহমুদকে সেখানে থেকে চলে দুরে সরে যেতে বলেন। ধমক দিতে থাকেন। এরপর শুরু হয় উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি। প্রায় ৫ থেকে ৬ মিনিট ধরে এই হাতাহাতি চলে। একপর্যায়ে খোরশেদ আলমকে লাথি মারেন মির্জা আল মাহমুদ বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এছাড়াও এসময় শারীরিকভাবে একে অপরকে লাঞ্ছিত করতে থাকেন তাঁরা। পরে ঢাকা বারের আইনজীবীরা মির্জা আল মাহমুদের ওপর চড়াও হন। এতে তাঁর শার্ট ছিঁড়ে যায়। পরে উপস্থিত অন্যান্য আইনজীবীদের মধ্যেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরে সিনিয়র আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী মির্জা আল মাহমুদ ইনকিলাবকে বলেন, উনি (খোরশেদ আলম সাহেব) ঢাকা বারের আইনজীবী। উনি আমাকে অশালিন ভাষায় কথা বলেন। এরপর উনি (খোরশেদ আলম সাহেব) প্রথমে আমাকে আঘাত করেন। এরপর আমিও পাল্টা আঘাত করি। এরপর উনি চিৎকার শুরু করলে ঢাকা বারের অন্যান্য আইনজীবী মিলে আমাকে শারীয়িকভাবে লাঞ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, তারা আমার শার্ট ছিঁড়েছেন।
লাথি মারার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এরপর আরো কি কি ঘটেছে সেইসব আমার মনে নেই বলে মন্তব্য করেন এই আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিষয়টা খুব দুঃখজনক। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। তিনি বলেন, টিভি ক্যামেরার সামনে কথা বলা নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছে। পরক্ষণেই তাঁরা উভয়ে মিটমাট করে ফেলেছেন। ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, বিএনপির আইনজীবীদের হঠাৎ হাতাহাতি শুরু হলে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।