নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার
হিরো এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। ‘এ’ গ্রæপে নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা জাপানের সামনেও ছিলো অসহায়। এক মিনিটের ব্যবধানে দু’গোল হজম করায় শেষ পর্যন্ত হারের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়লো লাল-সবুজরা। গতকাল বিকালে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে গ্রæপের শেষ ম্যাচে জাপান ৩-১ গোলে হারায় বাংলাদেশকে। বিজয়ী দলের হয়ে তানাকা কেন্টা দু’টি ও কিতাজাতো কেনজি একটি গোল করেন। বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র গোলটি শোধ দেন মামুনুর রহমান চয়ন। একই ভেন্যুতে দিনের অন্য ম্যাচে চির প্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে এই গ্রæপের সেরা দল হিসেবে সুপার ফোরে নাম লেখালো ভারত।
টুর্নামেন্টের গ্রæপ পর্বে তিন ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে একই ব্যবধানে ভারতের কাছেও হার। আর শেষ ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামলেও সেই ভঙ্গুর বাংলাদেশ দলকেই দেখলেন দেশের হকিপ্রেমীরা। যদিও ম্যাচের ৫৮ মিনিট পর্যন্ত ১-১ ব্যবধানে জাপানকে আটকে রেখেছিল রাসেল মাহমুদ জিমির দল। তবে ৫৯ ও ৬০ মিনিটে পরপর দু’গোল হজম করায় শূন্য হাতেই গ্রæপ পর্ব শেষ করতে হয় তাদের। ফলে এখন স্থান নির্ধারনী ম্যাচ নিয়েই ভাবতে হবে বাংলাদেশকে।
টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে জার্মানী ও চীনে বেশ ক’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে জাতীয় হকি দল। আসর শুরু একদিন আগে পর্যন্ত ঘরের মাঠে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দু’টি অনুশীলন ম্যাচ খেলেছেন জিমিরা। প্রস্তুতিটা নেহাতই কম হয়নি। তারপরও উন্নতির কোন ছায়া নেই। এশিয়া কাপের গ্রæপ পর্বে পাকিস্তান ও ভারতের কাছে লজ্জা পাওয়ার পর জাপান ম্যাচকে ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন কোচ মাহবুব হারুন। কিন্তু তা স্বপ্নই থেকে গেল। আর বাস্তবে রুপ নেয়নি। টুর্নামেন্টে আগের দু’ম্যাচে কোন পেনাল্টি কর্ণারের (পিসি) দেখা পায়নি বাংলাদেশ। গোলও নেই। ফলে স্বাগতিকদের খাতা ছিল শূণ্য। দু’জন পিসি স্পেশালিষ্ট মামুনুর রহমান চয়ন ও আশরাফুল ইসলাম দলে থাকলেও পিসি আর গোলের জন্য বাংলাদেশ শিবিরে ছিল হাহাকার। কিন্তু জাপান ম্যাচে সেই পিসির বন্ধ দুয়ার খুলেছে। তাও মাত্র একবার। ম্যাচের ২৮ মিনিটে একমাত্র পিসি থেকেই গোল আদায় করেন চয়ন। তিন ম্যাচ মিলিয়ে ১৪৮ মিনিট পর পিসি পেলেও তাতে শতভাগ সফল বাংলাদেশ। ব্যাস, জিমিদের গল্প ওই পর্যন্তই। এরপর ম্যাচের বাকি ইতিহাস জাপানীদের নিয়েই। যদিও সাত পিসির মধ্যে একটিতেও সফল হয়নি তারা। জাপান তিনটি গোলই পেয়েছে ফিল্ড থেকে।
আগের দু’ম্যাচেরই প্রতিচ্ছবি যেন এ ম্যাচেও। প্রথম কোয়ার্টার গোলশূণ্য। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ার্টারেই এগিয়ে যায় জাপান। ম্যাচের ২২ মিনিটে কিতাজাতো কেনজি এককভাবে কাটিয়ে অসীমের পায়ের ফাক দিয়ে বল পোস্টে জড়ান (১-০)। মিনিট ছয়েক পর পাওয়া একমাত্র পিসি থেকে সেই গোল শোধ দেন চয়ন (১-১)। উল্লাসে মেতে উঠেন স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার খানেক দর্শক। তৃতীয় কোয়ার্টারে ডিফেন্স থেকে অ্যাটাকিংয়ে চলে যায় বাংলাদেশ। ফলে এই কোয়ার্টারেও কোন গোলের দেখা পায়নি দু’দল। ৪০ মিনিটে জাপানের পোনাল্টি স্ট্রোক দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক অসীম গোপ। তবে ম্যাচের শেষ দিকে খেই হারিয়ে ফেলে লাল-সবুজরা। এক মিনিটে দু’গোল করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তানাকা কেন্টা। ৫৯ এবং ৬০ মিনিটে সম্পূর্ণ একক প্রচেষ্টায় গোল দু’টি করেন তিনি (৩-১)। ফলে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
একই মাঠে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত ৩-১ গোলে চির প্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রæপের সেরা দল হয়ে সুপার ফোরে জায়গা পায়। ভারতের পক্ষে চিংলেনসানা, রামানদ্বীপ ও হারমানপ্রীত একটি করে গোল করেন। পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র গোলটি শোধ দেন সাহান আলী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।