Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী




আমার মা খালারা চার বোন, এক ভাই। নানা নানী মারা গেছে। এখন আমার মা খালারা নানার সম্পত্তির যে অংশ পাবে তা নিয়ে আসতে চায়। কিন্তু আমার মামা এবং এক খালা বলে, মা খালারা যে সম্পত্তি পাবে তা থেকে অর্ধেক এবং কম দামী জমি আনতে এবং মামা, মামী আমাদের সাথে খুবই দুর্ব্যবহার করে। কিন্তু আমার মা এবং অন্য দুই খালারা তাতে রাজি না। এতে এক খালা এবং মামা, আমার মা এবং দুই খালাকে বার বার জোর জবরদস্তি করে। এখানে উল্লেখ্য যে, আমার এক খালা এবং মামার আর্থিক অবস্থা খুবই ভাল। তাদের ছেলে মেয়েরা আমেরিকা এবং জাপান থাকে। অন্য দিকে আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। এই অবস্থায় আমার এক খালা এবং মামার প্রস্তাব কুরআন এবং হাদিসের আলোকে কতটা যৌক্তিক। জানালে উপকৃত হব।

উত্তর : কোরআন ও সুন্নাহ এ ক্ষেত্রে সমমূল্যের সম্পত্তি সবাইকে দেওয়ার কথা বলে। তবে, ওয়ারিশানরা একমত হয়ে কোনো ছাড় দিলে বা সমঝোতা করলে এটাও শরীয়ত সমর্থন করে। তবে, কাউকে জোরপূর্বক নিজ হক থেকে বঞ্চিত করা, ঠকানো, কমদামী সম্পত্তি দেওয়া বা...


আমি একটি কোম্পানিতে জব করি, প্রায়ই দেখা যায় অনেক কোম্পানি তাদের পন্য বিক্রির জন্য বায়ারের ম্যানজারদের বিভিন্ন উপহার ও টাকা পয়সা দেয়। এখানে অনেক ম্যানেজার না চাইলেও কোম্পানিগুলো তাকে খুশি করার জন্য দেয়। এতে কি ম্যানেজারের গুনাহ হবে? অনেকে বাধ্য হয়ে উপহার দেয়, কেউ কেউ না চাইলেও নিয়ম রক্ষার্থে এসব উপহার বা টাকা পয়সা দেয়। এই উপহার দেওয়া নেওয়া কি জায়েজ হচ্ছে?

উত্তর : স্বার্থ সংশ্লিষ্ট উপহার অনেকক্ষেত্রেই ঘুষের শামিল। কারণ, কোনো মাল গ্রাহকের পছন্দ না হলেও এসবের অধিক প্রশংসা, ক্ষেত্র বিশেষে প্রতারণা বা উপহারের কারণে নানা বাহানায় গ্রাহককে গছিয়ে দেওয়া ইত্যাদি বিষয় এখানে পাওয়া যায়। সুতরাং এসব উপহার জায়েজ হবে না।...



আমি শরিয়তের হুকুম আহকাম মোতাবেক চলার চেষ্টা করি। পারিবারিক বাধা সত্বেও দাড়ি টুপি ব্যবহার করছি। ১ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। বিয়েতে আমি পরিপূর্ন শরিয়ত মানার চেষ্ঠা করেছি এতে পরিবারের সবাই নারাজ হয়। বড় বোন জামাইয়ের নারাজির কারণে মা-বাবাও খুশি নন। পর্দার খেলাফ এবং আমার কর্মক্ষেত্র দূরে হওয়ায় আমার স্ত্রীকে আমার কাছে নিয়ে আসি। এইজন্য আমার মা আমার প্রতি অসন্তুষ্ট। তিনি আমার স্ত্রীকে ফোনে গালিগালাজ করে। বড় ভাই নেশাগ্রস্থ ও অন্যান্য অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার পরেও তারা তাকেই বেশী আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়। মাস শেষে টাকা নেওয়ার জন্য ফোন করা ছাড়া আমার সাথে তারা কোনো যোগাযোগ রাখে না। এই অভিমানে আমিও যোগাযোগ কম করি এবং ৬ মাস যাবৎ বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দেই। এতে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। যদিও তাদের জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?

উত্তর : তাদের জন্য আপনার কষ্ট হওয়াটা আপনার ভালো মানুষির চিহ্ন। এটি সন্তান হিসাবে, ভাই হিসাবে, পরিবারের সদস্য হিসাবে আপনার প্রশংসনীয় অনুভূতি। এটুকুর জন্য ইনশাআল্লাহ আপনি সম্পর্ক ছেদের গুনাহ থেকে রক্ষা পেয়ে যাবেন। যথাসম্ভব তাদের সহায়তা করতে থাকুন। আপনার পক্ষ...







আর্কাইভ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ