Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এতিমখানায় বেড়ে ওঠা আবদুল্লাহ চমক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ২:৩৫ পিএম

গাজি আবদুল্লাহ মাত্র দুই বছর বয়সে বাবাকে হারান। কাশ্মীরে অনাথ আশ্রমে বেড়ে উঠেছেন এবং আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের ফল যে অসাধারণ হয়, সেটাই প্রমাণ করলেন জম্মু-কাশ্মীরের অনাথ আশ্রমে বেড়ে ওঠা এই যুবক। জানা গেছে, জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনিক চাকরির পরীক্ষায় ৪৬তম স্থান অর্জন করেছেন তিনি।

গাজি জানান, আমি সকল কৃতিত্ব মাকে দিতে চাই। তিনি সবসময় আমাকে স্বপ্ন পূরণের আশা দেখিয়েছেন। যদিও তিনি শিক্ষিত নন, তবে তিনি শিক্ষা ও কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব বোঝেন। আমাদের বহু প্রতিবন্ধকতা পার করতে হয়েছে এবং সেসব পার হয়ে এ পর্যায়ে এসে আমি মায়ের কাছে ঋণী।

পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে গাজিকে একপর্যায়ে অনাথ আশ্রমে দিয়ে দেওয়া হয়। নিজের কঠোর পরিশ্রমের জানান অবশ্য বহু আগেই দিয়েছেন গাজি। ১০ম শ্রেণির পরীক্ষায় তিনি রাজ্যে ১০ম স্থান অর্জন করেছিলেন।

তিনি বলেন, অনাথ আশ্রমে থাকতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা ও আবেগ তৈরি হয়েছে। সুযোগ তৈরি করার জন্য আমি নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে গেছি। এতিমখানায় থেকেও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত।

স্নাতক শেষ হওয়ার পর চাকরির বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল গাজির। তবে স্নাতকোত্তর শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পড়াশোনা শেষে ভালো চাকরির আশায় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি ঠিকভাবে নিতে বইয়ের পাশাপাশি ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখতেন তিনি।

গাজি বলেন, কেবল সাম্প্রতিক বিশ্ব সম্পর্কে জানার জন্য আমি ইন্টারনেট ব্যবহার করেছি। ইন্টারনেট অনেকটা দিয়াশলাই কাঠির মতো। এটার মাধ্যমে নিজের বাড়ি যেমন পুড়িয়ে দিতে পারেন, আবার কিছুটা উষ্ণতার জন্য আগুন জ্বালানো কিংবা আলোর জন্য মোম জ্বালাতেও পারবেন।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ