পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ করায় নিজ কার্যালয়ে ঠিকাদার ও তার সহযোগীদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন (২৮)। এ সময় তার কক্ষের ল্যাপটপ ও প্রিন্টারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার সময় গণপূর্ত কার্যালয়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার গণপূর্ত বিভাগ-২ কার্যালয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত দেলোয়ার হোসেন জানান, কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ভ‚মি অফিস নির্মাণ কাজ চলছে। গত রোববার বিকেলে তিনি নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যান। এ সময় সেখানে নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে ঢালাই কাজ চলছিল। এছাড়া কাজের সিডিউলে চার ইঞ্চি ঢালাই দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে আড়াই ইঞ্চি দেয়া হচ্ছিল। এ সময় তিনি কাজটি বন্ধ করে দেন এবং ঘটনাস্থল থেকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি জানান, এ ঘটনার জের ধরে ঠিকাদার লিটন এবং তার ম্যানেজার আতিক সোমবার দুপুরে তার অফিস কক্ষে আসেন। এসময় লিটন ঘটনাস্থল থেকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে লিটন এবং তার সহযোগী তার ওপর হামলা চালালে তার ডান চোখের উপরের অংশে আঘাত লেগে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে গুরুতর আঘাত রয়েছে। হামলার পর লিটন এবং তার সহযোগী আতিক ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তার কক্ষের চেয়ার, টেবিল, ল্যাপটপ এবং প্রিন্টার ভেঙে ফেলেন।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফেরদৌস শাহনেওয়াজ কান্তা বলেন, ঠিকাদার লিটন এবং তার সহযোগী আতিক প্রকৌশলী দেলোয়ারকে মারধর এবং তার কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন। এ সময় পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন খান জানান, এ ঘটনায় ঠিকাদার লিটন এবং তার সহযোগী আতিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।