Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একই অঙ্গে এতো রূপ!

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

তিনি কখনো ম্যাজিস্ট্রেট। কখনো ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক। কখনো বা ক্যাব সভাপতি, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক। আবার কখনো এনজিও বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী। কখনো দেশি বিদেশি নিয়োগকারী সংস্থার মহাব্যবস্থাপক। কখনো আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী, পরিবেশবিদ। কী নন তিনি! একই অঙ্গে এতো রূপ।
র‌্যাবের ভাষায় তিনি একজন ঠান্ডা মাথার প্রতারক। পারভীন আক্তার (৫০) নামে এই ভয়ঙ্কর প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মহানগরীর পাহাড়তলী ডিটি রোডের ঢাকা ভবনের (ইউনিয়ন ব্যাংক ভবন) ১০ম তলায় ‘স্বীকৃতি’ নামক ভুয়া সংস্থার অফিসে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে তাকে পাকড়াও করা হয়। তার অফিস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রতারণার ও জাল জালিয়াতির নানা সামগ্রী। ১০ মামলার আসামি পারভীনের বিরুদ্ধে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছ থেকে সঞ্চয়ের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ আছে।

তার অফিস থেকে বিপুল সংখ্যক সঞ্চয় ও ঋত পাসবই, পূরণ করা চেক, স্বাক্ষর করা খালি চেক, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও জমা বই, চুক্তিনামা, স্বাক্ষর করা সাদা স্ট্যাম্প, ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের জরিমানা আদায়ের রশিদ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সিল, স্বীকৃতি নামক সংস্থার ডেবিট ও ক্রেডিট ভাউচার বই, ফিক্সড ডিপোজিট রশিদ বই, অনুদান আদায়ের রশিদ বই, ক্যাশ পজিশন বই, প্যাড, বিদেশগমনের লিফলেট, বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রাম সম্বলিত ভিজিটিং কার্ড, নিয়োগপত্র, প্রকল্প প্রস্তাব, আইডি কার্ড, ৪টি পাসপোর্ট, তার একটি ভুয়া এনআইডি কার্ডসহ আরো বিপুল কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায়, পারভীন বিভিন্ন ভুয়া ও অবাস্তব প্রকল্প এবং সচেতনতা কার্যক্রম দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে অনুদানের আবেদন করে থাকেন। ভ‚তুড়ে কার্যক্রম দেখিয়ে কিছুদিন আগে একটি মন্ত্রণালয়ে ছয় কোটি ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৪০০ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব জমা দেন। ২০১৪ সালে তার প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের কারণে সমবায় অধিদপ্তর স্বীকৃতি সংস্থাটির লাইসেন্স বাতিল করে। পরে তিনি মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিতে লাইসেন্সের আবেদন করলেও প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের জন্য লাইসেন্স অনুমোদিত হয়নি। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিভিন্ন পরিচয়ে তার প্রতারণামূলক কর্মকান্ড যেমন গ্রাহকের কাছ থেকে সঞ্চয় আদায়, ভুয়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, হুমকি প্রদান করে চাঁদা আদায়, আইনি সহায়তা, চাকরি দেয়া বা বিদেশ পাঠানোর নাম করে টাকা আদায়সহ নানা অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: একই অঙ্গে

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ