Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী





আমরা কয়েকজন একরুমে থাকি। তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিদিন রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত জেগে থাকায় তারা ফজরের নামাযে উঠতে পারে না। আমি ফজরের সময় তাদেরকে ডাকলে তারা নামায পড়তে পারে। অন্যথায় তাদের নামায কাযা পড়তে হয়। আমি খেয়াল করেছি যে, রাত জাগা তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় আমি প্রতিদিন তাদের ফজরের নামাযের সময় ডাকতে বিরক্ত বোধ মনে করি এবং তাদের রাত না জাগতে অনেকবার বলেছি। কিন্তু তারা তাদের আগের মতোই রাত জাগে। তাদের রাত জাগার কারণে আমি যদি তাদেরকে ফজরের নামাজের সময় না ডাকি আমার কি কোন গুনাহ হবে?

উত্তর : গোনাহ হবে না। ফজরের নামাজে মানুষকে ডাকার জন্য আজানই যথেষ্ট। আজানের পর আবার আলাদাভাবে ডাকা শরীয়তের হুকুম নয়। তবে, নামাজ পড়তে ইচ্ছুক ঘুমন্ত ব্যক্তিকে একবার ডেকে দেওয়া সজাগ ব্যক্তির নৈতিক দায়িত্ব। ঘুমন্ত ব্যক্তিকে বারবার ডেকে জোর করে তুলে...








আমরা জানি যে, রাতের বেলা ঘুমানোর আগে ৪ বার সূরা ফাতিহা, ৩ বার সূরা ইখলাস, ৩ বার দুরুদে ইব্রাহীম, ৪ বার কালেমা তামজিদ ও ১০ বার ইস্তেগফার পড়লে যথাক্রমে ৪০০০ দিনার দান, ১ বার কুরআন খতম করা, জান্নাতের মূল্য দেওয়া, ১ বার হজ্ব করা ও দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দেওয়ার নেকী পাওয়া যায়। এখন আমার প্রশ্ন হল, সোয়াবের আশায় বা পরকালে লাভবান হওয়ার জন্য কোন নফল ইবাদত বা এই আমলগুলো পরিমাণে বেশি করলে (যেমন ৩ বারের জায়গায় ৬ বার, ৪ বারের জায়গায় ৮ বার, ৩৩ বারের জায়গায় ৫০ বার পড়লে) বিদাআত হবে কি?

উত্তর : হাদীসে বর্ণিত নিয়ম পালন করাই ঘোষিত সওয়াব পাওয়ার জন্য যথেষ্ট। সুন্নাত নিয়ম সুন্নাতের মতোই করা উচিত। এরপর আপনার ইচ্ছা হলে আরও বেশি নেকীর দোয়া তেলাওয়াত করতে পারেন। এজন্য আলাদা সওয়াব হবে। তবে বর্ণিত নিয়ম ভেঙ্গে নিজের মনের মতো...


আর্কাইভ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ