উত্তর : প্রাচীণ মিসরের কিবতি বা মৎসজীবী সম্প্রদায়ের শাসক বংশের উপাধি ফেরাউন। ইংরেজিতে এদের ফারাও বলা হয়। ফেরাউন শব্দটি ফারউন শব্দ থেকে নির্গত। এর অর্থ শাখা-প্রশাখা। ফেরাউন শব্দের মর্মগত অর্থ রাজবংশের শাখা তথা উত্তরাধিকারী। পরিভাষায় : প্রাচীন মিসরের রাজপুরুষ। ইতিহাসে যতজন ফেরাউনের উল্লেখ রয়েছে এরা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি। বলা হয়, হজরত মূসা আ. এর জীবনেই দু’জন ফেরাউনের সাথে তার সংগ্রাম করতে হয়েছিল। প্রাচীন ইতিহাস গ্রন্থে ফেরাউনদের নামের একটি তালিকা পাওয়া যায়, তবে এসবের ওপর পূর্ণ নির্ভর করা যায় না।...
উত্তর : ঈমানদার নারী পুরুষ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অর্থাৎ শরীয়তের সিদ্ধান্তকে। পিতা,মাতা,স্বামী, সন্তান,পীর,ওসতাদ,শাসক সবার কথাই ততক্ষণ মানা যাবে যতক্ষণ তা শরীয়তের খেলাপ না হবে। আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিপরীতে নারীর...
উত্তর : এশাসহ বাকি পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজ না পড়লে যেমন গোনাহ, বেতের না পড়লেও তেমন গোনাহ। কারণ এটি সর্বসম্মতভাবে স্থায়ী ওয়াজিব। কারণ, এ নামাজেরও কাযা আছে। কেউ কাফফারাহ দিলেও বেতেরসহ দিতে হয়।উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান...
উত্তর : যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব, তাকে পশু কোরবানিই করতে হবে। টাকা দান করলে কোরবানি আদায় হবে না। ঝামেলা সামলানোর মতো কেউ না থাকলে কোনো আত্মীয় স্বজনকে দায়িত্ব দিয়ে দিতে পারেন। সুযোগ থাকলে শরিক কোরবানি দিলে নিজেদের ঝামেলা পোহাতে হয়...
উত্তর : কোরবানীতে কিছুটা ছাড় এমন রয়েছে যে, এক পরিবারের পক্ষ থেকে একটি কোরবানীই যথেষ্ট। যদি প্রত্যেকেরই আলাদা অর্থবিত্ত থাকে, তাদের হিসাব-কিতাবও ভিন্ন থাকে তাহলে আলাদা আলাদা কোরবানী ওয়াজিব হবে। এক ব্যক্তির আর্থিক ব্যবস্থাপনায় যত পোষ্য আছে তাদের পক্ষে একজনের...
উত্তর : ফিকহে হানাফী অনুসারে ভাগ রাখা যাবে। যারা এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষন করেন তাদের মাসআলা অন্যরকম হতে পারে। আমাদের দেশে যেহেতু প্রায় সব মুসলমান হানাফী ফিকাহ’র অনুসারী সুতরাং আমাদের সমাজে প্রচলিত নিয়মে কোরবানীর পশুতে আকিকার ভাগ রাখা যাবে। উত্তর...
উত্তর : মৃত ব্যক্তির নামে মানে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে। কোরবানী দিতে হবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে। নামে বলা হয়, কোরবানীদাতাকে বোঝাতে। মৃত ব্যক্তির রুহে সওয়াব পৌঁছানোর জন্য জীবিতরা নফল কোরবানী দিতে পারে। তবে, কোরবানীদাতা নিজের ওয়াজিব কোরবানী দিয়ে পাশাপাশি মৃতের নামেও...
উত্তর : এ অবস্থায় গরুটির এক সপ্তাংশ তার ওপর ওয়াজিব কোরবানীর মতো হয়ে গেছে। বাকী ছয় অংশে সে শরীক করতে পারবে। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।প্রশ্ন পাঠাতে নিচের...
উত্তর : শরীয়তের দৃষ্টিতে এ কাজটি নানা কারণে নিষিদ্ধ। এখানে প্রতারণা, ঠগবাজি ও মিথ্যা পাওয়া যায়। যা শরীয়তে হারাম। হাদীস শরীফে আছে, একজনের কেনাকাটার সময় অন্য কেউ দাম বলা নিষেধ। ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে মূল্যবৃদ্ধি প্রতারণার শামিল। এ ধরনের দালালি বা ফড়িয়াগিরী...
উত্তর : দুই ছেলের জন্য সংগতি থাকলে চারটি ছাগলই দিতে হবে। আকীকা একটি মুস্তাহসান আমল। এটি উম্মতের সকলে গুরুত্বসহকারে আমল করেছেন। তবে, যার সংগতি নেই তার জন্য এটি ওয়াজিব ফরজ নয়। গরু দিয়ে আকীকার কোনো নিয়ম দেখা যায় না। তবে,...
উত্তর : আকিকার নিয়ম মূলত দুম্বা, ছাগল বা খাসি দিয়ে দেওয়া। ইজতেহাদ করে বিশেষজ্ঞ ফকীহগণ বড় পশুর ভাগ দিয়েও আকিকা করা যায় বলে মত প্রকাশ করেছেন। যার ওপর উম্মতের আমলও পাওয়া যায়। তবে, খাসী দিয়ে দিতে পারলে কেউ গরু দিয়ে...
উত্তর : সবার নাম উচ্চারণ করা বা জবাইকারীর তা উল্লেখ করা জরুরী নয়। কোরবানীদাতারা নিয়ত করে নিলেই চলবে। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।[email protected]...
উত্তর : নবী করিম সা. এর নামে অর্থ তার পক্ষ থেকে। মূলত কোরবানী হয় শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই। এ নামের অর্থ আল্লাহর উদ্দেশ্যে। আর কোরবানীদাতার ক্ষেত্রেও বলা হয় অমুকের নামে। এ নামে অর্থ হচ্ছে, তার পক্ষ থেকে। এভাবে নবী করিম সা....
উত্তর : কোনো অঙ্গের পুরোটাই যদি না থাকে, তাহলে এমন পশুর কোরবানী শুদ্ধ হয় না। আপনার পশুর যে পরিমাণ খুঁতযুক্ত এতে কোরবানী হয়ে যাবে। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া...
উত্তর : ছবিসহ আইডি কার্ড পরে নামাজ না পড়াই উত্তম। তবে, যদি ছবি খুব ছোট হয় যা লক্ষ্য করে না দেখলে দেখা যায় না। দূর থেকে ছবি প্রদর্শনী বলে মনে হয় না, এমন ছবিওয়ালা আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে নামাজ পড়লে...