উত্তর : টীকা নানা রকমের আছে। শিশুর নানা রকম রোগ প্রতিরোধ ও সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নয়নের জন্য তৈরি টীকা দেওয়া যায়। কোনো সন্দেহ বা সংশয় থাকলে মুসলিম দীনদার ডাক্তার বা বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করে জরুরী টীকা দেওয়া যায়। এমন পরামর্শের ভিত্তিতে সাধারণ মুসলমানরা যখন এ টীকা দিয়ে যাচ্ছেন, এ বাপারে ব্যক্তিগত অনুসন্ধান বিশেষজ্ঞ ছাড়া সাধারণ মানুষের জন্য জরুরী নয়। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।প্রশ্ন পাঠাতে নিচের...
উত্তর : এভাবে নামাজ হয়ে যাবে। তবে, অন্য সুরা জানা থাকা ব্যক্তির ইচ্ছাকৃতভাবে এমন করা মাকরুহ। আপনি নামাজে আরও মনোযোগী হন, কি পড়ছেন তা খেয়াল করে পড়ুন। তাহলে এমন হবে না। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র :...
উত্তর : এটি যদি পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে নেওয়া জায়েজ। আর যদি কুসংস্কার হিসাবে কিংবা ইচ্ছা বা সংগতি না থাকা সত্বেও চাপ দিয়ে দেওয়া নেওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তা জায়েজ হবে না। সম্পূর্ণ চাপমুক্ত ও দরাদরিমুক্ত...
উত্তর : ইলেক্ট্রনকি ডিভাইস বা গণমাধ্যমে কোনো মুভি, সিরিয়াল, ডকুমেন্টারি ইত্যাদি দেখার বিষয়ে উলামায়ে কেরামের মধ্যে নানা মত রয়েছে। আপনার বর্ণিত সিরিয়ালটি নিয়েও মিশ্র মতামত আছে। যারা এসব দেখা জায়েজ মনে করেন না, ইচ্ছা করলে আপনি তাদের মত অনুসরণ করতে...
উত্তর : নামাজ না পড়া অনেক বড় কবীরা গুনাহ। বহু ইমাম ঈমান চলে যাওয়ার কারণ বলেও একে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং, নামাজ পড়তেই হবে। তবে, নিজের হালাল জীবিকা বা পারিশ্রমিক নামাজ না পড়ার কারণে হারাম হয়ে যায় না। আল্লাহ দয়া করে...
উত্তর : পরিষ্কার না জায়েজ নয়। তবে, এটি মূলত বিজাতীয় সংস্কৃতি। এ থেকে যথাসম্ভব বেঁচে থাকা পরহেজগারিতার লক্ষণ। জন্মদিন পালন, ভালো খানার আয়োজন, অন্যকে দাওয়াত করা ইসলামী সংস্কৃতিতে প্রশংসনীয় কাজ নয়। অনেকে এদিন দুয়া করেন, মানুষকে খাদ্য দান করেন, এসব...
উত্তর : যে অনুষ্ঠানে আল্লাহর সাথে শিরকের সংশ্লেষ আছে, বিধর্মীদের এমন অনুষ্ঠানে এসব করা জায়েজ নেই। শুভেচ্ছা জানানো ও কুশল বিনিময় যদি শিরকের সংশ্লেষ ছাড়া নিছক সামাজিক ও মানবিক হয়ে থাকে, তাহলে ক্ষেত্রবিশেষে জায়েজ হতে পারে। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি...
উত্তর : মায়ের আপন মামা হলে বিবাহ জায়েজ হবে না। এর দূরের মামা হলে এমন নাতনির সাথে এই নানার বিয়েতে শরীয়তে কোনো বাধা নেই। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।প্রশ্ন...
উত্তর : পারবেন না। কারণ, ওয়াকফ মসজিদ চিরদিনই মসজিদ থাকে। প্রয়োজনে মসজিদের বাইরে, পরিত্যাক্ত বা নামাজ হয় না এমন পরিবেশ হলেও সে জায়গাটি মসজিদের মতোই বিধান রাখে। মসজিদ হিসাবেই গণ্য করতে হয়। অতএব, মসজিদ এওয়াজ বদল করা যায় না। উত্তর...
উত্তর : সর্ববস্থায়ই আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। কোনো অবস্থায়ই সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করা জায়েজ নয়। ওইপক্ষ বিচ্ছিন্ন করলে আপনি তা বজায় রাখবেন। এটাই আল্লাহর নির্দেশ। যদি তারা অসৎ কাজে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তাদের সংশোধনের জন্য আপনি বিচ্ছিন্নতার প্রকাশ্য অনুশীলন করতে...
উত্তর : ব্যক্তিগতভাবে এ থেকে নিজেকে রক্ষা করা। আল্লাহকে ভয় করে চোখ, কান ও মনের গুনাহগুলো থেকে বেঁচে থাকা। মনের ওপর জোর খাটিয়ে এ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করলেই থাকা যায়। রাষ্ট্র বা কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হচ্ছে, এসব সাইট নিজ দেশে...
উত্তর : সৌদি আরবে খাদ্যের ক্ষেত্রে হালাল ও স্বাস্থসম্মত হওয়ার বিষয়টি সরকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। সুতরাং গোস্ত যে দেশ থেকেই আসুক, তা হালাল উপায়ে জবাই ও প্রসেস সৌদি সরকার নিশ্চিত করে। তা ছাড়া দেশে দেশে হালাল খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসব...
উত্তর: নামাজের জামাতে কাতারবদ্ধ হয়ে একে অপরের কাছাকাছি মিলেমিশে দাঁড়ানো জামাতের আদব। জামাতে কাঁধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এভাবে দাঁড়াতে হয় যেন দু’জনের ডানা, হাঁটু, পা অর্থ্যাৎ পুরো শরীর যথাসম্ভব কাছাকাছি থাকে। নবী করিম সা. বলেছেন, তোমরা কাতার সোজা কর। কেননা...
উত্তর : মসজিদের মূল জামাত হয়ে গেলে, মসজিদের ভেতর পুনরায় জামাত পড়া মাকরুহ। যদি পড়তে হয়, তাহলে বারান্দা বা চত্বরে পড়বে। মূল মসজিদে না পড়ার কারণ হলো, এতে নির্ধারিত জামাতের গুরুত্ব কমে যাবে। মানুষ মূল জামাত ত্যাগ করে, যার যার...
উত্তর : কবর পাকা করার কোনো রীতি রাসূলুল্লাহ (সা:) এর আদর্শে নেই। সাহাবায়ে কেরামের জীবনেও তারা কোনোদিন কবর পাকা করেন নি। কবর চিহ্নিত করা যায়। নবী যুগে কবরের বুক বরাবর স্থানটি উটের কুজের মতো সামান্য উঁচু করে দেওয়া হতো। মাথার...