Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কোরবানির সময় গরুর হাটে গরু পছন্দ করে দামাদামি শুরু করতেই কিছু লোক এসে উপস্থিত হয়। তারা ওই গরুর মূল্য বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলতে শুরু করে। সেই গরু ক্রয় করতে চাইলে অনিচ্ছা সত্তে¡ও তাদের চেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়। খোঁজখবর নিলে জানা যায় যে, ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের যোগসাজশ থাকে। যারা মূলত ক্রেতা নয়। কিন্তু ক্রেতা সাজে শুধু দাম বাড়ানোর জন্য। শরীয়তের দৃষ্টিতে তাদের এ কাজের হুকুম কি?

আশিকুর রহমান
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২০, ৬:৫৫ পিএম

উত্তর : শরীয়তের দৃষ্টিতে এ কাজটি নানা কারণে নিষিদ্ধ। এখানে প্রতারণা, ঠগবাজি ও মিথ্যা পাওয়া যায়। যা শরীয়তে হারাম। হাদীস শরীফে আছে, একজনের কেনাকাটার সময় অন্য কেউ দাম বলা নিষেধ। ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে মূল্যবৃদ্ধি প্রতারণার শামিল। এ ধরনের দালালি বা ফড়িয়াগিরী শরীয়তে জায়েজ নেই। তবে, ক্রেতা বিক্রেতার অনুমতিক্রমে তাদের হয়ে বেচা-কেনা করে দেয়া জায়েজ। এমন পেশাদারকে শরীয়তে ওয়াকিল বা দালাল বলা হয়। কমিশন এজেন্ট বা মিডিয়া যদি প্রতারণামূলক নয় বরং বৈধ সহায়তামূলক কোনো কাজ করে তা শরীয়তে নিষিদ্ধ নয়।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোরবানি

৯ জুলাই, ২০২২
৯ জুলাই, ২০২২
৮ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ