উত্তর : না। এমন কোনো নিয়ম শরিয়তে স্বীকৃত নয়। মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পর লোকজন কিছুটা দূরে সরে গেলেই ফেরেশতাদের প্রশ্নোত্তর শুরু হয়। কবরের বাইরে থেকে ওয়ারিশান বা হুজুররা কোনো নির্দেশনা দিলেও কবরে শায়িত ব্যক্তির এতে কোনো উপকার হয় না। এটি নির্ভর করে প্রথমত আল্লাহর রহমত ও পরে মৃত ব্যক্তির ঈমান আমলের ওপর। এক হাদিসে পাওয়া যায়, স্বয়ং নবী করিম সা. জনৈক মৃতের কবর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আসসাবাত, আসসাবাত’ অর্থাৎ প্রশ্নোত্তরের সময় দৃঢ় থাক। এ ঘটনা জীবনে আর কখনো ঘটেনি। সাহাবায়ে...
উত্তর : দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত ও তাদের বলি দেয়া পশু খাওয়া হারাম। তবে, অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য, ফলমূল খাওয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। এক শ্রেণীর আলেম এগুলোকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে জবাই ও উৎসর্গকৃত পশুর মতোই হারাম বলেছেন। আরেক শ্রেণীর কিছু আলেম বলেছেন,...
উত্তর : উত্তম হলো অজ্ঞাত মালিকের ওয়াইফাই লাইন পেলেও ব্যবহার না করা। তবে যতদূর জানা যায়, একটি ওয়াইফাই লাইনের খরচ অধিক ব্যবহারেও কমবেশি হয় না। নির্দিষ্ট টাকা দিলেই চলে। মালিকের যে সমস্যাটা হতে পারে সেটি হচ্ছে, তার নিজের ওয়াইফাই ব্যবহার...
উত্তর : আপনার বংশধর নেই। মানে আপনি নিঃসন্তান বা বিয়ে শাদী করেন নি। এখানে আপনার সম্পত্তি পরবর্তীতে ভাই-ভাতিজারা পাবেন। তারা যদি সম্মতি দেয় (যদিও এটি জরুরী নয়, সৌজন্য মাত্র) তাহলে পৈত্রিক সম্পত্তি সবটুকু বিক্রিতে শরীয়ত কোনো বাধা দেয় না। এতে...
উত্তর : না জানা অবস্থায় সাহু সেজদা করলে নামাজ হয়ে যাবে। পরে জানার কারণে মনে খুঁত খুঁত ভাব তৈরি হলে সাবধানতা বশত: কাজা করে নিন। তবে এসবক্ষেত্রে শরীয়ত অনেক ছাড় দিয়ে রেখেছে। বিশেষ করে মাসয়ালা না জানা অবস্থায় যেসব নামাজ...
উত্তর : আপনার বোনের ওয়ারিশ সর্বাবস্থায় দিতে হবে। আপনি যদি মামা হিসাবে কোনো বিনিময় ছাড়াই এ চার সন্তানের দায়-দায়িত্ব পালন করার ক্ষমতা রাখেন এবং খুশি মনে তা করে থাকেন, তাহলে এতে আপনি এতিম পালন, আত্মীয়তার হক আদায়সহ বহু রকমভাবে বিশাল...
উত্তর : অপারগ অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শে ক্যাপ লাগানো জায়েজ। ফিলিং ও রুটক্যানেল করাও জায়েজ। নতুবা কাঁচা দাঁত ফেলে দিলে সুস্থ মানুষের নিউরোলজিকেল ক্ষতি হতে পারে। মাথা ও চোখে এর মন্দ প্রভাব পড়ে। ক্যাপ লাগানো দাঁতের অজু গোসলের পবিত্রতাও এর ওপর...
উত্তর : ইসলামে প্রচলিত অর্থের শুভ-অশুভ বলতে কিছু নেই। কোথাও বৈধ উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলে বা কোনো বৈধ কাজে যাত্রা করলে আল্লাহর নামে, তার ওপর ভরসা করে শুরু করলে রাস্তায় বা নজরে যা কিছুই পড়ুক অশুভ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর...
উত্তর : না। ইমামের অনুপস্থিতিতেও জামাআত বাদ দেয়া যাবে না। ওই সময় উপস্থিত সবচেয়ে যোগ্য লোকের ইমামতিতেই জামাআত পড়তে হবে। সে যদি ফাসিক ফাজিরও হয়। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও...
উত্তর : আপনার বিশেষ সমস্যা না হলে এভাবেই চালিয়ে দিন। খুব বড় সমস্যা ছাড়া সরাসরি কালো কলপ ব্যবহার না করাই উত্তম। মেহেদী ছাড়া অন্য কোনো রংও ব্যবহার করতে পারেন, যা সরাসরি কালো না হয়ে সামান্য ব্যতিক্রম হবে। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা...
উত্তর : না মারা উত্তম। কারণ, এখানে মশাকে পুড়িয়ে মারা হয়ে থাকে। ইসলামী মূলনীতিতে পারতপক্ষে কোনো ক্ষতিকর প্রাণীকেও পুড়িয়ে মারা সমর্থনযোগ্য নয়। একান্ত বাধ্য না হলে অন্যভাবে মশক নিধনই উত্তম। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র :...
উত্তর : যেসব কারণে জন্ম বিলম্বিতকরণ জায়েজ, তারমধ্যে সন্তান দেরীতে নিতে চাওয়া পড়ে না। এজন্য ধর্ম সচেতন ডাক্তারের নির্দেশনা, সন্তান ও মায়ের মৃত্যুঝুঁকি ইত্যাদি সামনে থাকতে হবে। শুধু মাঝখানে দূরত্ব সৃষ্টি শরীয়ত সম্মত কারণের মধ্যে পড়ে না। এবার নিজেই ভেবে...
উত্তর : সর্বোচ্চ আড়াই বছর। দুই বছরের আগে দুধ বন্ধ করা যাবেই না। মায়ের দুধ শিশুর অধিকার। বাজে কারণ দেখিয়ে যারা শিশুকে মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত করে তারা গোনাহগার হবে। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র :...
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত কথাগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। এমন হয় না। চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের সময় সুন্নত নামায শুধু গর্ভবতীদের জন্য নয় বরং সব মুসলমানের জন্য বিধিবদ্ধ রয়েছে। আমাদের দেশে রেওয়াজ নেই তবে মক্কা মদীনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এ সুন্নত নামায...
উত্তর : পেশাব পায়খানার সময় জিকির করা নিষেধ। বিশেষভাবে লেট্রিনে জিকির করা নিষেধ। বড় বাথরুমে, যেখানে অজুর জায়গা লেট্রিন থেকে দূরে সেখানে জিকির দোয়া করা যায়। সুন্নত তরীকার দাড়ি কাটা বা ছাটা যায় না। দাড়ি সম্পূর্ণ মুক্তভাবে ছেড়ে রাখতে হবে।...