গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে যে ১১টি অভিযোগ উঠেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার অনুসন্ধান করবে। অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়া গেলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন।
আজ রোববার দুপুর ১২টায় আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আইনমন্ত্রী প্রধান বিচারপতির অসুস্থতা, ছুটি চাওয়া, বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়সংক্রান্ত সব আবেদন ও চিঠিপত্র পড়ে শোনান। তিনি বলেন, এসব আবেদন ও চিঠিপত্রে প্রধান বিচারপতি তাঁর অসুস্থতার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। ‘কিন্তু বিদেশ যাওয়ার আগে তিনি বলেছেন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তাঁর এ বক্তব্যে আমি হতভম্ব।’
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতি ছুটি ও বিদেশ যাওয়া নিয়ে বিতর্কের যুক্তিসংগত কোনো কারণ নেই। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বিদেশে যেতে দেওয়া হলো কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, অভিযোগ থাকলে সেটা মামলা–মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়াতে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। তাঁকে বিদেশে যেতে দেওয়ায় কোনো অনিয়ম বা নীতিগত সমস্যা হয়নি।
প্রধান বিচারপতি বিদেশযাত্রার প্রাক্কালে তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক বিষয়ে কোনো কাজ করতে পারেন না। এটি সঠিক কি না, তা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এটি সঠিক নয়। সংবিধানের ৯৭ ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে প্রধান বিচারপতির এই বক্তব্য আইনসংগত নয়।’
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান বিচারপতির লেখা চিঠির সত্যতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যে আলোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সেই চিঠি গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছি। সেই চিঠি এবং তাঁর বক্তব্য মিথ্যা নয়। যারা সেটিকে মিথ্যা বলতে চাইছে, সেসব অর্বাচীনকে আমি বলব, মিথ্যা কথা বলা আমার পেশা নয়, অভ্যাসও নেই।’
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রমাণিত হলে তাঁর বিচারের প্রক্রিয়া কী হবে? কারণ, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কার্যকর নয় বলে সরকার মনে করে আর সংসদের হাতেও বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা যায়নি। এ ক্ষেত্রে কী হবে, তা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে একটা শূন্যতা আছে, তবে রাষ্ট্রপতির কিছু নিজস্ব ক্ষমতা আছে। অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত হবে, তারপর আইন অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।