Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

৭২ ভাগ কর্মকর্তাই ব্যাংকের সংখ্যা কমানোর পক্ষে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ ব্যাংক রয়েছে তা কমানো প্রয়োজন বলে মনে করেন ৭২ ভাগ ব্যাংক কর্মকর্তা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম’র অডিটরিয়ামে এক কর্মশালায় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ‘এক্সপ্লোরিং মার্জার অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন ইন দ্য কনটেক্স অব দ্য ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ কর্মশালায় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক মো. মহিউদ্দিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল।
বিআইবিএম’র গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭২ ভাগ ব্যাংক কর্মকর্তা মনে করেন বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ ব্যাংক রয়েছে তা কমাতে হবে। তবে ১১ ভাগ কর্মকর্তা মনে করেন ব্যাংকের সংখ্যা ঠিক আছে। আর ১৭ ভাগ কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংক মার্জারের (একীভূতকরণ) ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো- সুশাসনের অভাব, বোর্ডের গোপন সুবিধা, রাজনৈতিক দুর্বলতা, মানসিকতার পরিবর্তন, পরিচালকদের দুর্বলতা, নেতৃত্ব এবং কৌশলগত চ্যালেঞ্জ। কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে মার্জারের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে এ ধারণা কিছুটা নতুন। তবে মার্জারের জন্য যেকোনো সময় আমরা প্রস্তুত আছি। এ বিষয়ে আমরা একটা গাইডলাইন করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বিদেশে ব্যাপকহারে মার্জার হচ্ছে। সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বড় হওয়ার জন্য মার্জার করে থাকে। তবে আমাদের দেশে ছোট ব্যাংকগুলোর ধারণা বড়দের সঙ্গে মার্জার হলে বড়রা তাদের খেয়ে ফেলবে। বিডিবিএলের (বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড) ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে সেটা হলো দুটো খারাপ প্রতিষ্ঠান মিলে নতুন একটি খারাপ প্রতিষ্ঠানের জন্ম দিয়েছে।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি এক্সিট পলিসি (বহির্গমন নীতি) থাকা দরকার। কোনো ব্যাংক খারাপ করলে তাকে এ নীতির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, মার্জার সবসময় খারাপ হয় না। এর ইতিবাচক দিকগুলো দেখতে হবে। আমাদের গেøাবালাইজেশনের অংশ হতে হলে মার্জারে যেতে হবে।
বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইয়াছিন আলি বলেন, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো চালাতে না পারে তাহলে এগুলো প্রাইভেট সেক্টরে ছেড়ে দেয়া উচিত। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে আর্থিক খাতের ৮০ ভাগ সমস্যা সমাধান সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংক

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ