পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অভিযোগপত্রে শীর্ষ নেতাদের সুপারিশ
খুলনার দাকোপে আওয়ামীলীগের দু’টি ইউনিটের দুই সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী সহ অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের মাধ্যমে প্রতিকার চেয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতারাই। খোদ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ এবং স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস অভিযোগ পত্রে সুপারিশ করেছেন। বিষয়টি এখন টক অব দ্যা ডিস্ট্রিক।
এছাড়া স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা দলীয় পদ থেকে তাদের বহিষ্কারের জন্য জেলা কমিটির বরাবরে আবেদন করেছেন। পুলিশ সুপারের কাছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও গণআবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী জুলু ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব মো: শহিদুল ইসলাম গাজীর লোলুপ দৃষ্টিতে ঘর-সংসার ভাঙছে নিরীহ মানুষের। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম গাজী সম্প্রতি স্থানীয় দু’সন্তানের জননী বিধবাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টাকালে আটক করে এলাকাবাসী। এর আগে স্থানীয় নলিয়ান গ্রামের ডা. মোঃ সহিদুল ইসলাম মোল্যার স্ত্রী সেলিনা বেগমের সাথে শহিদুলের বড় ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী জুলুর পরকীয়া সম্পর্ক এলাকায় ওপেন সিক্রেট। এমন আরো কয়েকটি ঘটনা রয়েছে যা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না কেউ। তাদের দু’ভাইয়ের অবৈধ প্রেমজ সম্পর্ক, ফুসলিয়ে শারীরিক সম্পর্ক ও একের পর এক জোরপূর্বক ধর্ষণের মতো ঘটনায় আবার ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী। যেকোনো সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম গাজী ও জুলফিকার আলী জুলু বলেন, ঘটনা সঠিক নয়। এটি মিথ্যা অপপ্রচার।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নলিয়ান গ্রামের ডাঃ সহিদুল ইসলাম মোল্যার স্ত্রীর সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার আলী জুলুর সাথে অবৈধ সম্পর্কের জেরধরে সংসারটি ভেঙে যায়। পরে তাদের চক্রান্ত থেকে রেহাই পেতে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর দরখাস্ত করেছিলেন ভুক্তভোগী। যাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও তৎকালীন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সুপারিশ করেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় মহিলা ওয়ার্ড মেম্বর খাদিজা আক্তার বলেন, ‘এই আধুনিক যুগে নারীর প্রতি পুরুষের এতোটা লোলুপ দৃষ্টি থাকতে পারে তা ওই পরিবারটি না দেখলে বিশ্বাস হবে না। এলাকার মানুষ ফুঁসে উঠেছে। যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।