পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিরাই উপজেলা সংবাদদাতা : ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো বেশ কয়েকজন। এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ঘোরামারা সাতপাকিয়া প্রকাশিত জারলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা একরারবাহিনীর লোকজন ও ইজারাদার পক্ষের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুক মিয়া এবং এয়াহিয়া চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই হাতিয়া গ্রামের চান উল্লাহর ছেলে তাজুল ইসলাম (৩৫) মারা যায়। এছাড়া আকিলনগর গ্রামের ইসহাক মিয়ার ছেলে শাহরুল (২৮) ও আমান উল্লাহর ছেলে উজ্জ্বল (২৫) আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হাতিয়া গ্রামের মিরাস মিয়ার ছেলে আল আমিন (২৪), সুনাফর (২৭) এবং উত্তর সুরিয়ারপার গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে মালেক মিয়াকে সিলেট ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাকীদেরকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, যুবলীগ নেতা একরারবাহিনীর লোকজন একরারের নেতৃত্বে জারলিয়া জলমহাল দখল করতে গেলে ইজারাদার দক্ষিণ নাগেরগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় দাসের পক্ষের আওয়ামী লীগ নেতা মাসুক মিয়া ও এয়াহিয়া চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা চলাকালে এলোপাতারি গুলিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তাজুল ইসলাম নিহত হন। নিহত তাজুল ইসলামের লাশ দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্যে সুনামগঞ্জে প্রেরণ করে।
ইজারাদার ধনঞ্জয় দাসের পক্ষের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুক মিয়া জানান, সরকারকে যথাযথ খাজনা প্রদান করে দখলপ্রাপ্ত হয়ে আমরা জলমহাল ভোগ দখল করে আসছি, মঙ্গলবার ১১টার দিকে একরার ও তার বাহিনীর ৩০/৩২ লোক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের খলাঘরে মৎস্যজীবীদের উপর এলোপাতারি গুলি চালায়, ভয়ে খলাঘর থেকে দিকবিদিক পালাতে গিয়ে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। কিছুদিন আগেও একরার ও তার বাহিনীর লোকজন অবৈধ বন্দুক, পাইপগান নিয়ে অতর্কিতভাবে আমাদের জলমহালে প্রবেশ করে মাছ লুট করে এবং খলাঘর দখল নিতে গুলি চালিয়েছিল। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবরে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় দাস লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
একারার হোসেন দাবি করেন, ইজারাদারদের কাছ থেকে তিনি ৬ বছরের জন্য সাবলিজ নিয়ে জলমহাল দখলে আছেন, ঘটনার দিন প্রতিপক্ষের লোকজন আমার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে ৩ জন নিহত হন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল জলিল সংঘর্ষে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার ১১টার দিকে একারার ৩০/৩২ জন লোক নিয়ে জলমহালটি দখল করতে গেলে ইজারাদার ধনঞ্জয়ের লোকজনের সাথে সংঘর্ষ হয়, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।