পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে জেএমবির দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইল র্যাব-১২। সোমবার রাতে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানার শেখুপুর এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে স¤্রাট মিয়া ওরফে হুরের খোঁজে (২১) ও সিরাজগঞ্জের সাহেদনগর থানার মো. গোলাম মোস্তফার ছেলে শাহাদত হোসেন ওরফে আমির হামজা (২২)। গ্রেফতারকৃতরা গত ৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে গ্রেফতার হওয়া দুই সহোদর জেএমবি সদস্যের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তারা ঢাকার মিরপুরে র্যাবের অভিযানে নিহত জঙ্গি আব্দুল্লাহর সহযোগী ছিল বলে র্যাব দাবি করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল র্যাব-১২ কার্যালয়ে কোম্পানি অধিনায়ক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে দুই সহোদর জঙ্গিকে গ্রেফতার করে র্যাব। রিমান্ডে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিক্তিতে ১ অক্টোবর জামালপুর থেকে মো. মোক্তারুল ইসলাম নামের অপর এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের তিনজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১২ এর একটি দল। এ সময় সেখান থেকে স¤্রাট ও শাহাদতকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত শাহাদত নারায়ণগঞ্জের জামিয়া হোসাইনিয়া আরাবিয়া হাজিগঞ্জ মাদ্রাসা থেকে হেফজ সম্পন্ন করেছে। অপর দিকে স¤্রাট নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের মহুয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশের পর রাজধানীর একটি গার্মেন্টে চাকরি করে। তারা দুজনেই ২০১৩ সালের দিকে জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন বেনামী আইডি হতে জিহাদি পোস্ট করে আসছিল।
তারা অন্য জঙ্গি সদস্যদের সঙ্গে টেলিগ্রাম, ট্রিমাসহ বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করতো। গত ২৫ আগস্ট তারা দুজন স¤প্রতি র্যাবের অভিযানে মিরপুরে নিহত জঙ্গি আব্দুল্লাহর বাড়িতে এক বৈঠকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। গ্রেফতারকৃত দুই জঙ্গিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর কালিহাতী থানায় দায়েরকৃত সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।