Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রধান বিচারপতিকে যারা ছুটিতে পাঠিয়েছেন তারা আপনাকেও পাঠাবে -গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৭, ৪:২৫ পিএম

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থ বলে যাদের দ্বারা ছুটিতে পাঠাতে বাধ্য করেছেন তারাই একদিন আপনাকে অসুস্থ বলে ছুটিতে পাঠাতে পারেন। তাই স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেন। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আসলে কোন দলই লাভবান হবে না।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা এরশাদকে অসুস্থ বানিয়েছিলেন আজও তারাই প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থ বানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সুশাসন ও নাগরিক অধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব এ.কে.এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা’র ছুটির প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গোটা ব্যবস্থাটাই বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হামলা। কারণ ষোড়শ সংশোধনীর রায় ৭ জন একসঙ্গেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাহলে প্রধান বিচারপতির যদি ছুটি হয়, বাকি ৬ জন ছুটি নেন না কেন?

নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এ সভায় তিনি বলেন, আজকে আদালতের পাশ দিয়ে আসার সময় লক্ষ করলাম রাস্তার দুই পাশে বড় বড় ফেস্টুন টানানো আর সেখানে লেখা আছে মাদার অব হিউম্যানেটি। মনে হল যারা এই শব্দটা যার বেলায় অবতারণা করেছেন, তারা জনগণের সাথে মশকরা করেছেন। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা দেশি এবং আন্তর্জাতিক প্রতি বছর রিপোর্ট ছাপে যে বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই। আর সেই দেশ অন্যায় ভাবে জনগণের সমর্থন ছাড়া পেশি শক্তির বলে প্রশাসনকে দলীয় ক্যাডার হিসেবে কাজে লাগিয়ে যারা ক্ষমতায় আছেন সেই ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তিদের যখন মাদার অব হিউম্যানেটি বলে সেটা জনগণের সাথে মশকরা, ঠাট্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

স্বৈরাচার পতনের আগে যেসব ঘটনা ঘটে এখন তার আলামত চলছে বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শেখ হাসিনা নোবেল পাওয়ার যোগ্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, শান্তি ও অর্থনীতির জন্য নয়, গুমের জন্য তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য। এমনকি ৫ ই জানুয়ারির অদ্ভুত নির্বাচনের জন্য তার নোবেল পাওয়া উচিৎ ছিল। যেহেতু নোবেল কমিটি তাকে দেয় নাই তাই আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উচিৎ নীল খেত থেকে একটি নোবেল কিনে তাকে দেয়া। সেখানে অনেক নোবেল পাওয়া যায়।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৩ অক্টোবর, ২০১৭, ৬:৩৫ পিএম says : 0
    গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এর কথা শুনে অনেক আনন্দ পেয়েছেন বিএনপির কর্মীরা, ভরে গেছে তাদের প্রান। তারা বাহবা দিচ্ছেন নেতা কি ভাবে প্রতিপক্ষের প্রধানকে খোঁচা মেরে দাত ভেঙ্গে দিয়েছ। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য নেতার কথায় কর্মীদের জন্য সঠিক কোন দিক নির্দেশনা নেই এই বক্তব্যে। তিনি বিএনপি দলের উচ্চ স্তরের একজন নেতা, উনি যদি দলকে সঠিক ভাবে এগিয়ে যাবার নির্দেশনা না দিয়ে কর্মীদেরকে বিপথে পরিচালনা করার জন্য কথা বলেন তাহলে দল কিভাবে এগিয়ে যাবে এটাকি একটা প্রশ্ন নয়??? বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন শুধু মাত্র একটা দলকেই দেখা যায় কাজেই সেই দলকে ইংরেজিতে বলে “চেক এন্ড ব্যালেন্স” করার জন্য একটা শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন। দুর্ভাগ্য ভাবে সত্য যে, বাংলাদেশে এখন একটি দল সরকারি দল এর বাইরে আর কোন দলই চোখে পরেনা যারা এই দলকে কুবকাত করতে পারে। যে দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকে না সেই দেশ কোনভাবেই সুষ্ট ভাবে চলেনা বা চলতে পারেনা এটাই মহা সত্য। আমি আশাকরব সামনের দিকে বাংলাদেশে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের পদচার ঘটবে। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গয়েশ্বর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ