নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দরজায় কড়া নাড়ছে এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের দশম আসর। আর মাত্র ২৪ ঘন্টা পর মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হবে হিরো এশিয়া কাপের। আট জাতির এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে যেমন প্রস্তুত বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) তেমনি মাঠের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত দলগুলো। গতকাল রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য মিডিয়াকে জানানো হয়। এ অনুষ্ঠানেই এশিয়া কাপের ট্রফি উন্মোচিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান হকি ফেডারেশনের (এএইচএফ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৈয়ব ইকরাম, বাহফের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান হিরো মটরের সিইও অজয় সিনহা, এএইচএফের নির্বাহী সদস্য আব্দুর রশিদ শিকদার ও ইভেন্ট এন্ড স্পোর্টস ডিরেক্টর এলিজাবেথ ফাস্ট সহ অংশগ্রহণকারী আট দলের অধিনায়ক, দেশের সাবেক হকি খেলোয়াড় ও সংগঠকরা।
এশিয়া কাপের স্বর্ণালী ট্রফি থেকে হাত ছোঁয়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি। জিমির দুই পাশে দাঁড়ানো সাত দলের সাত অধিনায়ক। ক্যামেরায় অনবরত ক্লিক চলছে। হাসিমুখে ট্রফিটা ধরে একের পর এক পোজ দিলেন জিমিসহ অন্য সাত দলের অধিনায়করা। স্বর্ণালী এই ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলতেই আগামীকাল থেকে মাঠের লড়াইয়ে নামবে ভারত, পাকিস্তান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ওমান. মালয়েশিয়া ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।
দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশী সময় পর এশিয়া কাপের আয়োজক হলো বাংলাদেশ। সর্বশেষ ১৯৮৫ সালে ঢাকায় বসেছিলো এ আসর। টুর্নামেন্টকে স্মরণীয় করে রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বাহফের কর্মকর্তারা। তাই কাল ট্রফি উšে§াচন অনুষ্ঠানে দেখা গেল তাদের চেহারায় ক্লান্তির ছাপ। কিন্তু মুখ তৃপ্তির হাসি। বিশেষ করে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেকের চোখে মুখে যেন খেলা করছিলো তৃপ্তির ঝিলিক। এত বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পেরে তিনি দারুণ উচ্ছসিত। সাদেক বলেন, ‘এখন থেকে ৪৮ ঘন্টা পরই শুরু হতে যাচ্ছে বহু কাঙ্খিত এশিয়া কাপের দশম আসর। দলগুলিও চলে এসেছে। ঘরের মাঠে দুটি এশিয়া কাপের স্বাক্ষি। আশা করছি সকলের সহযোগিতায় সফলভাবেই এই আসর আমরা শেষ করতে পারবো। এর প্রমান আমরা রেখেছি অনুর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে ও ওয়ার্ল্ড হকি লিগ রাউন্ড টু সফলভাবে শেষ করে।’
এএইচএফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৈয়ব ইকরামও বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এশিয়া কাপ নতুনভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে পরিচিত করে তুলবে এমনটাই বলেন তিনি। তৈয়ব ইকরামের কথা, ‘বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন কর্মকর্তারাদের চাহিদার ফসল এই এশিয়া কাপ। তারা তাদের কথা রেখেছে। এএইচএফের প্রধান শর্ত ছিল ফ্লাডলাইট। সেটি তারা স্থাপন করতে পেরেছে। অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে এখানে। বাংলাদেশ একসময় তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ সকল উন্নতির জন্য ক্রীড়ামন্ত্রণালয়সহ সকল সহযোগি মন্ত্রণালয় এবং বিশেষ করে ক্রীড়াবান্ধব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শুভেচ্ছা রইল।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।