নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ‘নতুন ঘরানার’ গান গেয়ে এবারের এশিয়া কাপের দল ও কোচিং স্টাফ ঠিক করে। বদলে শরীরী ভাষা, খেলার ধরণ, আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে বিসিবি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যে ধরনের বার্তা দিয়েছিল গণমাধ্যমে তার কোনো বস্তবতা লক্ষ্য করা যায়নি আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আসরের প্রথম ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছিল মন্থর ও নিচু বাউন্সের পিচে। ঠিক যেমনটা মিরপুরে থাকে। চেনা কন্ডিশন ও পিচ পেয়েও অপরিকল্পিত ব্যাটিং ও বোলিংয়ের বাজে নিদর্শন স্থাপিত করে ৯ বাল বাকি থেকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ হারে টাইগাররা। যা দেখে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের দাবি, ‘এমন ব্যাটিং করে কোনো দলের বিপক্ষেই জয় আশা করা যায় না।’
আজ দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রæপ পর্বের শেষ ম্যাচটি ‘ডু অর ডাই’ সাকিব বাহিনীর জন্য। আফগানদের বিপক্ষে হেরে শ্রীলঙ্কাও একই সমীকরণে দাঁড়িয়ে। তবে দলটির অধিনায়ক দাসুন সানাকা দাবি করেছেন, ‘আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা সহজ’। কিন্তু পরিসংখ্যান বলে ভিন্ন কথা। এশিয়া কাপের পূর্বের ৪ আসরে ৩ বারই বাংলাদেশের কাছে হারতে হয় লঙ্কানদের। সাকিব-মুশফিকরা চাইবেন এশিয়া কাপের দাপট বজায় রেখে সেরা চারে পৌঁছাতে। আর কুশল-সানাকাদের কামনা দেশের অর্থনৈতিক ক্রান্তিকালে পরের রাউন্ডে উঠে মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।
এশিয়া কাপের ২০১৬ সালের আসরটিও হয়েছিল কুড়ি ওভারের সংস্করণে। সেই আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৩ রানে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। ৮০ রানের অপারাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন সাব্বির রহমান। এদিকে এশিয়া কাপের সর্বশেষ মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশে ১৩৭ রানের বিশাল জয় পেয়েছিল। টাইগাররা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সর্বশেষ দেখায় হেরেছিল ৫ উইকেটে। সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপে, ভেন্যু ছিল শারজাহ। সর্বশেষ ৫ দেখায়ও বাংলাদেশের জয় দুটিতে। এই দুই দল সর্বমোট ১২ বার খেলেছে একে অপরের বিপক্ষে। তাতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৪ ম্যাচে। তাতেই অসম্ভব আত্মবিশ্বাসী লঙ্কান কোচ ক্রিস সিলভারউড, ‘প্রথম ম্যাচটা চোখ খুলে দিয়েছে। আমাদের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে এবং ফিরে আসতে হবে শক্তভাবে।’ আজকের ম্যাচটি হবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। শারজার তুলনায় বেশ বড় বাউন্ডারি থাকাতে, কৌশলগত কারণে এদিয়ে থাকবে টাইগাররা।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সর্বদা উজ্জ্বল মুশফিকুর রহিম। যার প্রমাণ ১০ ম্যাচে ১৫০ স্ট্রাইকরেটে ২৯৬ রান। পঞ্চাশোর্ধো ইনিংস ৩টি। লোয়ার অর্ডারে মাহমুদউল্লাহর রেকর্ডও অসাধারণ। ১১ ম্যাচে ২৭১ রান, গড় ৩৯। আজকের ম্যাচে জয়ের জন্য এই দুইজনের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। এই দুইজনকে জয় করতে হবে ৩৯ ম্যাচে ৭১ উইকেট পাওয়া হাসারাঙ্গার লেগ স্পিনের চ্যালেঞ্জ। তবে ভালো শুরু পাওয়াটা অপরিহার্য। ওই যে দল নির্বাচন পক্রিয়া সেটা হওয়া দরকার যুক্তিসঙ্গত। নাঈম হাসান দলে ঢুকেছিলেন লিটন ও সোহানের চোটের কারণে। কিন্তু দল ঘোষণার সময় এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ ইমন ছিলেন প্রথম দুই পছন্দ। তাহলে ঠিক কি জাদুকাঠির ছোয়ায় নাঈম শেষ ম্যাচ খেলেছেন তা জানা দূরহ ব্যাপার। ঠিক একইভাবে প্রশ্নবিদ্ধ সাব্বির রহমানের দলের বাহিরে রাখার সিদ্ধান্ত। শ্রীলঙ্কার কুশল, রাজাপাক্ষে ও সানাকাদের জন্য বল হাতে হুমকি হতে পারেন সাকিব ও মুস্তাফিজ। সাকিব ৬.২৮ ইকোনোমি ৮ ম্যাচে ১২ উইকেট পেয়েছেন এই প্রতিপক্ষের সাঙ্গে। যেখানে ফিজের উইকেট একটি কম। তবে পিচ ও কন্ডিশন বিবেচনায় ২৩ ম্যাচে ৭.২২ ইকনমিতে ২৯ উইকেট পাওয়া নাসুম আহমেদ চলে আসতে পারেন মূল একাদশে। সেক্ষেত্রে তাসকিন বা সাইফউদ্দিন বাদ পরতে পারেন।
গুঞ্জন আছে লঙ্কান একাদশে ঢুকতে পারেন আসহেন বান্দারা, আসিতা ফার্নান্দো। শিলঙ্কার বর্তমান দলের খুব কম খেলোয়াড়ই এই সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন। তবে কুশল মেন্ডিস সব সময় ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন টাইগারদের বিপক্ষে। ৪ ম্যাচে প্রায় ১৭০ স্ট্রাইকরেটে ১৯১ রান ভয়ংকর বার্তাই দিচ্ছে টাইগার বোলারদের। সর্বশেষ ম্যাচে টাইগারদের হারতে হয়েছিল রাজাপক্ষের ৩১ বলে ৫৩ রানের ইনিংসের কারণে। এই বাঁহাতির বিপক্ষে আলাদা পরিকল্পনা করতেই হবে সাকিব-ফিজদের। তবে মুস্তাফিজের অপরিকল্পিত বোলিং মাথা ব্যাথার কারণ বাংলাদেশের জন্য। সর্বশেষ ম্যাচে নাজিবুল্লাহ ছাড়া ম্যাচ জেতানোর মত কোন ব্যাটসম্যান আফগান শিবিরে ছিল না। কিন্তু ফিজ ও সাইফউদ্দিনের মাথা মোটা বোলিং কাল হয়েছিল। ফিজের এই পারফরম্যান্স দেখে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ জানান, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি মুস্তাফিজের বলে অনেক বৈচিত্র আছে। তবে সে অটো চয়েজ না।’
মানসিকতা আর ঘরানায় পরিবর্তনের সূচনা দেখতে চায় বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে আজকে সেই যাত্রায় টাইগারদের সবচেয়ে বড় বাধা খুব কাছের একজন। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বাকাপের শিরোপা জেতানো কোচ নাভিদ নাওয়াজ। তিনি যে এখন তার নিজ দেশের সহকারী কোচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।