হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটিতে গেছেন, নাকি তাকে ছুটিতে যেতে হয়েছে সেই বিষয়টি নিয়ে দেশে তীব্র বিতর্ক রয়েছে। যে দুটি পক্ষ বিতর্ক করছে সেই দুটি পক্ষই অত্যন্ত শক্তিশালী। একদিকে রয়েছে সরকার পক্ষ, অপর দিকে রয়েছে সরকার বিরোধী পক্ষ। এদের মধ্যে আইনজীবীরাও রয়েছেন। আমরা এই বিতর্কে যাচ্ছি না। আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ৩ অক্টোবর থেকে ছুটিতে যাওয়ার পর যেখানে এই পর্বের ইতি হওয়ার কথা ছিল সেটি না হয়ে বরং বিষয়টির ডাল-পালা বাড়তে শুরু করেছে। আইনজীবী সমিতি তার ছুটিকে বাধ্যতামূলক ছুটি বলছে। গত রবিবার ৮ অক্টোবরের পত্র পত্রিকায় সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্রের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি এবং তার স্ত্রী সুষমা সিনহাকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য ৩ বছরের ভিসা দেওয়া হয়েছে। তিনি শীঘ্রই অস্ট্রেলিয়া যবেন বলে পত্র পত্রিকার রিপোর্টে প্রকাশ। তার এই অস্ট্রেলিয়া যাওয়া নিয়েও দুই ধরনের মতামত শোনা যাচ্ছে। সাধারণভাবে বলা হচ্ছে, তিনি বেড়াতে যাচ্ছেন তার মেয়ের কাছে। তার মেয়ে সেখানে স্থায়ীভাবে বাস করেন। কেউ কেউ আবার বলতে চাচ্ছেন, তার ক্যান্সার হয়েছে এবং ক্যান্সারের ট্রিটমেন্টের জন্য তিনি অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন। এর মাত্র কয়েকদিন আগেই তিনি কানাডা এবং জাপান ঘুরে এসেছেন। এসব দেশেও ক্যান্সারের উন্নত মানের চিকিৎসা হয়। কানাডায় ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য সাবেক মন্ত্রী, ‘সাপ্তাহিক হলিডের’ প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং মালিক মরহুম এনায়েতুল্লাহ খান কানাডা গিয়েছিলেন। এস কে সিনহার ক্যান্সার কবে ধরা পড়েছে, বর্তমানে সেটি কোন পর্যায়ে রয়েছে, এগুলো কিছুই তার ছুটির আগে জানা যায়নি। গত রবিবারে অন লাইন পত্রিকাসমূহে দেখা গেল যে, প্রধান বিচারপতি তার প্রোটোকলসহ ঐদিন অর্থাৎ রবিবার সস্ত্রীক আইসিডিডিআরবিতে (যেটি সাধারণ মানুষের কাছে কলেরা হাসপাতাল নামে পরিচিত) গিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রক্ত দিয়ে এসেছেন। অনেকগুলো রোগ সনাক্ত করার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয়। সিনহা বাবুর রক্ত কোন রোগ সনাক্ত করার জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে সেটি বলা হয়নি। যাই হোক, অন্যদিকে ব্যারিস্টার মওদুদসহ বিরোধী দলের অনেক নেতা বলছেন, তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব খবর নিশ্চিত করা বা নাকচ করার কোনো উপায় আমাদের নেই। তাই পত্র পত্রিকায় যেসব খবর বের হচ্ছে, আমরা শুধুমাত্র সেসবই এখানে উল্লেখ করছি। আমাদের নিজস্ব কোনো মন্তব্য বা এক্সক্লুসিভ কোনো খবর নেই।
আমি কিছুক্ষণ আগেই বলেছি যে, সুরেন্দ্র বাবু এক মাসের ছুটি নিয়েছেন, তারপর সেখানেই সেই স্টোরি থেমে যাওয়ার কথা। বিচারিক কার্যক্রমের জন্যও তার কাছে কারো যাওয়ার কথা নয়। কারণ অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা পূর্ণদ্যোমে কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র বিরোধী দল ছাড়া সরকার পক্ষের মানুষজন প্রায় প্রতিদিনই তার কাছে যাচ্ছেন। রবিবার দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে সরকারি বাস ভবনে গিয়ে তার সঙ্গে তার চিসিৎসকসহ অন্তত চার ব্যক্তি সাক্ষাৎ করেন। চিকিৎসক ছাড়া অন্যারা হলেন আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবং প্রধান বিচারপতির একজন বন্ধু। বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসক সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে প্রবেশ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান। দৈনিক ইনকিলাবের রিপোর্ট মোতাবেক, তিনি প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত চিকিৎসক। এর আগে বেলা ৩টা ২০ মিনিটে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী। একটি সাদা গাড়িতে করে বাসভবনের পূর্বদিকের গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন তিনি। বিকাল ৪টা ১৪ মিনিটে পশ্চিম দিকের গেট দিয়ে বের হয়ে যান। বেলা সোয়া ১২টার দিকে হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (অর্থ) ফারজানা ইয়াসমিন প্রধান বিচারপতির বাসায় যান। বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন তার বন্ধু আতিক চৌধুরী। আতিক চৌধুরী পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
গত শুক্রবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার বাসভবনে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার এস কে সিনহার সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে এস কে সিনহা সস্ত্রীক ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান পূজায় অংশ নিতে। গত শনিবার এস কে সিনহার সঙ্গে আইনজীবীদের সাক্ষাতে পুলিশের বাধা ও বিচার বিভাগের ভাবমর্যাদা রক্ষায় আইনজীবী সমিতির নেতারা সারা দেশে পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ঐ খবরে আরো বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির সরকারি বাস ভবনের আশে পাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। বাসার চার পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও দায়িত্ব পালন করছেন। বাসভবনের চার পাশে গণমাধ্যম কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি বিদেশ যেতে পারেন, এমন সংবাদের পর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা অবস্থান নেয়।
\দুই\
আমি আগেই বলেছি যে, সিনহা বাবু ছুটি ভোগ করছেন, কিন্তু তার ছুটির রেশ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। গত শনিবার আইনজীবী সমিতির শীর্ষ নেতারা দেখা করতে গেলে মৎস্য ভবনে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। সুপ্রিম কোর্টে ফিরে এসে তারা তাদের ভাষায় প্রধান বিচারপতির বাধ্যতামূলক ছুটির প্রতিবাদে গত রবিবার থেকে সারাদেশে সপ্তাহ ব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচি মোতাবেক গত রবিবার থেকে তাদের ভাষায় এস কে সিনহাকে ফেরত আনার দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
\তিন\
আইনজীবীদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি দেখে ২০০৭ সালে পাকিস্তানের আইনজীবীদের একটি আন্দোলনের কথা মনে পড়ে গেল। ঘটনাটি সংক্ষেপে নিম্নরূপ:
২০০৫ সালের জুন মাসে বিচারপতি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীকে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়। ২০০৭ সালের ৯ মার্চ পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ বিচারপতি ইফতেখারকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। প্রধান বিচারপতি এই নির্দেশ মানতে অস্বীকার করলে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। এই সাসপেনশনের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। গণবিক্ষোভের মুখে ২০০৭ সালের ২০ জুলাই ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীকে প্রধান বিচারপতি পদে পুনর্বহাল করা হয়। ২০০৭ সালের শেষের দিকে পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৮ সালে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয় এবং সেই দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হয়। নির্বাচনে আসিফ আলী জারদারির নেতৃত্বে পিপলস পার্টি বিজয়ী হয় এবং সরকার গঠন করে। কিন্তু নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি ইফতেখার চৌধুরীকে প্রধান বিচারপতি পদে পুনর্বহাল করতে অস্বীকার করেন। আবার শুরু হয় আইনজীবীদের আন্দোলন। এই আন্দোলনে যোগদান করেন নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ। প্রবল আন্দোলনের মুখে ২০০৯ সালের ২২ মার্চ ইফতেখার চৌধুরীকে তার পদে পুনর্বহাল করা হয়।
যাই হোক, ছুটি নেওয়ার পরেও প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার হেয়ার রোডস্থ সরকারি বাস ভবনে সরকারের এবং সুপ্রিম কোর্টের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের আনা-গোনায় বিভিন্ন মহলে অনেক প্রশ্নের উদয় হয়েছে। বলা হচ্ছে, প্রধান বিচারপতি যদি সত্যিই ছুটিতে গিয়ে থাকেন তবে মন্ত্রীরা, উপদেষ্টারা এত ঘন ঘন তার বাড়িতে কেন যাতায়াত করছেন? কেনইবা আইনমন্ত্রী প্রধান বিচারপতির স্বাস্থ্য বুলেটিন দিয়ে যাচ্ছেন? কেনই বা সরকারি লোকজন ছাড়া আর কাউকে প্রধান বিচারপতির সাথে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না?
\চার\
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটিতে যাওয়ার পর আরেকটি প্রশ্ন জনগণের মনে, বিশেষ করে সমাজের শিক্ষিত অংশের মনকে নাড়া দিচ্ছে। সেটি হলো, এস কে সিনহার পর পরবর্তী প্রধান বিচারপতি কে হবেন? সিনহা বাবুর পর আপিল বিভাগে যে ৫ জন বিচারপতি রয়েছেন তাদের মধ্যে সিনিয়র মোস্ট বা জ্যেষ্ঠতম হলেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। তাকেই অস্থায়ী বিচারপতি করা হয়েছে। আমাগী ৩১ জানুয়ারি এস কে সিনহার স্বাভাবিক নিয়মে অবসরে যাওয়ার কথা। সুতরাং হাতে আছে আর মাত্র ৪ মাস। ৪ মাস পর বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞার স্থায়ী প্রধান বিচারপতি হওয়ার কথা। কিন্তু অস্থায়ীভাবে ওয়াহহাব মিঞাকে দায়িত্ব দেওয়ার সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যদিও ওয়াহহাব মিঞা বিতর্কিত তবুও সংবিধান অনুযায়ী তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি ‘বিতর্কিত’ কিনা, সে সম্পর্কে মন্তব্য করা আইনমন্ত্রীর পক্ষে অশোভন। কোন বিচারপতি বিতর্কিত, আর কে বিতর্কিত নন, সে সম্পর্কে রায় দেওয়ার তিনি কে? এটি করে তিনি তার এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছেন।
আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে কেন বিতর্কিত বলা হয়েছে? সম্ভবত কারণটি এই যে, অতীতে বেশ কয়েকটি রায়ে তিনি বিচারপতি খায়রুল হক এবং বিচারপতি সিনহার সাথে দ্বিমত পোষণ করে ভিন্ন রায় দিয়েছেন। মাইনরিটি রায় হওয়ার ফলে তার রায়টি কার্যকর হয়নি ঠিকই, কিন্তু তিনি তার ব্যক্তি সত্ত্বা সেখানে সমুন্নত করেছেন। উচ্চ আদালতের রায়ে স্প্লিট জাজমেন্ট বা বিভক্ত রায়ের ট্র্যাডিশন রয়েছে। এটিও রায়ের একটি পার্ট। তার স্প্লিট জাজমেন্টের একটি নিচে উল্লেখ করছি:
২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। এছড়াও আরো তিনটি রায় রয়েছে যেখানে তিনি স্বতন্ত্র রায় দিয়েছিলেন। সরকারি লাইন অনুসরণ না করার কারণে তাকে যদি বিতর্কিত বলা হয় তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে তাকে ডিঙ্গিয়ে অন্য কাউকে প্রধান বিচারপতি করা হবে। এই সরকারের আমলেই এই রকম নজির রয়েছে। বিচারপতি খায়রুল হক ছিলেন সিনিয়রিটি লিস্টের ৩ নম্বরে। তার ওপরে ছিলেন বিচারপতি আবদুল মতিন এবং বিচারপতি শাহ আবু নঈম। আবদুল মতিন এবং শাহ আবু নঈম উভয়কে ডিঙ্গিয়ে খায়রুল হককে এই সরকারের আমলে প্রধান বিচারপতি করা হয়।
আবদুল ওয়াহহাব মিঞার পর আপিল বিভাগের বিচারপতিদের জ্যেষ্ঠতার ক্রম: (১) সৈয়দ মুহাম্মাদ হোসেন, (২) মোহাম্মদ ইমান আলী, (৩) হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, (৪) মির্জা হোসেইন হায়দার। এই পটভ‚মিতে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি কে হবেন সেটি জানার জন্য মানুষকে আরো চার মাস অপেক্ষা করতে হবে। তবে কথায় বলে, ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। সে জন্য অভিজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক মহল মনে করেন, আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সুপারসেশন বা জ্যেষ্ঠকে টপকানোর খারাপ ঐতিহ্যের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।