পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাদ্যশস্য অনুৎপাদনশীল দেশ আরব আমিরাত। কারণ মরুভূমির দেশ। তবে ছিটে ফোটা কিছু খাদ্যশস্য উৎপাদন হয় কিছু কিছু এলাকায়, তাও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। ফলে দেশটিতে চাহিদা পূরণে খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয় ভারত, চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, থাইল্যান্ড, বার্মা ও নেপালসহ উৎপাদনশীল অন্যান্য দেশ থেকে। তারপরও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নেই আরব আমিরাতে। ক্রেতাদের পকেট কাটতে মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের নেই তৎপরতা। সারাবছরই মূল্য থাকে সীমিত। যেমন বাংলাদেশে এখনকার আলোচিত কাঁচা মরিচের কথাই বলা যাক।
এখানকার বাজারের খুচরা দোকানেই গত শুক্রবার কাঁচা মরিচের কেজিপ্রতি মূল্য ছিল ৭ দেরহাম (বাংলাদেশি ১৫০ টাকা)। অথচ খাদ্যশস্য উৎপাদনশীল বাংলাদেশ। তাছাড়া ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করার পরও সপ্তাহের ব্যবধানে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচের কেজিপ্রতি মূল্য এখন ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা বলে জানা যায়। অথচ খাদ্যপণ্য মূল্য সীমিত থাকার পরও ক্রেতাদের বিশেষ সম্মানে বিশেষ বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য যেন প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন এখানকার ব্যবসায়ীরা। এতে পিছিয়ে নেই প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও। দেশটিতে অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের মতো তাদের অনেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দোকানগুলোতে দিয়ে থাকেন বিশেষ মূল্য ছাড়। এ মর্মে অধিকাংশ দোকান বা সুপার মার্কেটে লাগিয়ে দেয়া হয় ব্যানার ও পোস্টার। আবার শুক্রবারে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা যাওয়ার সময়ও এ রকম পোস্টার বিতরণ করতে দেখা যায়। এ যেন ক্রেতাদের প্রতি ব্যবসায়ীদের অপার শ্রদ্ধাবোধের বহিঃপ্রকাশ।
অথচ বাংলাদেশে বছরের বিশেষ বিশেষ সময় ছাড়াও যেন সারাবছরই ক্রেতাদের পকেট কাটতে মুনাফাখোর মজুতদার ব্যবসায়ীরা পণ্যের মূল্য হুহু করে বাড়িয়ে দেয়। সীমিত আয়ের মানুষ নিদারুণ কষ্ট পায়। সাধারণ ক্রেতাদের দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা, ব্যথা-বেদনা, অক্ষমতা-সক্ষমতা বোঝারও যেন বিবেকে নেই তাদের। আর এখানে সারাবছরই খাদ্যপণ্য মূল্য থাকে সীমিত। বাজার মনিটরিং করতেও তেমন নজরদারির প্রয়োজন হয় না প্রশাসনের লোকদের। সরকারি আইনের প্রতি সকলেরই রয়েছে অপার শ্রদ্ধাবোধ -জানালেন ব্যবসায়ীরা। কী অপূর্ব শান্তিপ্রিয় দেশ আরব আমিরাত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।