Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাইখালী-রাজস্থলী সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ

সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে

| প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে নুরুল আবছার চৌধুরী

এশিয়া উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে এলজিইডির তত্ত¡াবধানে প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাইখালী-রাজস্থলী সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চলতি অর্থবছর এপ্রিল মাসে কার্যাদেশ মোতাবেক প্রকল্পে চারটি ফেইজে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ফেইজে নারানগিরি সরকারি পাইলট হাইস্কুল থেকে হেডম্যান বাড়ি পর্যন্ত ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৭৫ মিটার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
প্রকল্পের কাজের শুরুতে উপজাতীয় নামধারী সন্ত্রাসীদের মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবির মুখে কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকে। বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে জানানো হলে প্রকল্পের কাজ চালু রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়। চলতি বছরের আগস্ট মাসে কাপ্তাই ওয়াগ্গাছড়া ১৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ জোন কমান্ডারের নেতৃত্বে স্থানীয় হেডম্যান-কার্বারি, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রথম ফেইজের কাজ প্রায় শেষের দিকে বলে জানা গেছে। প্রথম ফেইজে প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রমাবাসী দাবি করেন।
নারানগিরি গ্রামের মো. রাসেল বলেন, রাজস্থলী-রাইখালী সড়ক নির্মিত হলে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যাবে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার হাজার হাজার কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য দ্রæত বাজারজাত করতে পারলে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে। সড়কটি নির্মিত হলে মিতিঙ্গাছড়ি, তিনছড়ি, পানছড়ি, ভালুক্কা, বালামছড়ি, কেংড়াছড়ি, মইদং, নারাছড়িসহ প্রায় ২০ গ্রামের উন্নয়নের নবদিগন্তের সূচনা হবে। পাহাড়ি বাঙালির দীর্ঘদিনের দাবি রাজস্থলী-রাইখালী সড়ক প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ভালুক্কা গ্রামের মনিষা তংচংগ্যা জানান, রাইখালী থেকে রাজস্থলী মাত্র ১২ কিলোমিটার সড়কে আধাঘণ্টায় পৌঁছানো সম্ভব। চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী সড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যয় হয়। রাইখালী-রাজস্থলী সড়ক নির্মাণ হওয়ায় দেড়ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় ফেইজের ঠিকাদার ওমর ফারুক জানান, প্রথম ফেইজ প্রকল্পের কাজ প্রশাসনের সহযোগিতায় শেষের দিকে। সন্ত্রাসীদের মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবির কারণে দ্বিতীয় ফেইজের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে দ্বিতীয় ফেইজের চার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি ব্রিজসহ মিতিঙ্গাছড়ি থেকে বালামছড়ি পর্যন্ত কাপের্টিং সড়কের নির্মাণ কাজ যথা সময়ে সম্পন্ন হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ ফেইজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা। তিনটি ব্রিজসহ সড়কে কার্পেটিং কাজ ঠিকাদারেরা কাজ শুরু করে সন্ত্রাসীদের মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবির মুখে কাজ না করেই চলে যেতে হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে নির্মাণাধীন ব্রিজের পাইলিং কাজ শেষ না করতেই প্রকল্পের কাজ থমকে যায়।
স¤প্রতি এডিপি মিশন সিএইচটি প্রকল্পের প্রধান মোহাম্মদ শহিদুল আলাম, এডিবি বিআরএম বিশেষজ্ঞ আকলিমা, কনসালটেন্ট শিশির কুমার সাহা, প্রকল্প পরিচালক নুরুল কাদির, সুকৃতি রঞ্জন চাকমা, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আলাউদ্দিন হোসাইন, কাপ্তাই উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম প্রথম ফেইজ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্মাণ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ