নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দেশের বাইরে নিজেদের প্রমাণের দৃড় প্রতিজ্ঞা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সেই প্রতিজ্ঞার ধার দিয়েও যেতে পারেনি টাইগারা। তবে সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সাদা পোষাকে নিজেদের জানান দেওয়ার শেষ সুযোগ হিসেবে আজ বøুমফন্টেইনে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। সত্যি বলতে, টেস্টে দু’দলের শক্তির পার্থক্য অনেক। প্রথম টেস্টেই মিলেছে এর প্রমাণ। টেস্ট যে শুধু বল-ব্যাটের খেলা নয় মুশফিকুর রহিমদের তাও চোখে আঙুল দিয়ে শিখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও তাদের শীর্ষ বোলিং আক্রমণই ছিল ইনজুরি আক্রন্ত। বোলিংয়ে তাদের প্রধান অস্ত্র ডেল স্টেইন ও ভারনন ফিল্যান্ডারকে প্রথম টেস্টে সামলানো লাগেনি বাংলাদেশকে। তারপরও ব্যাট হাতে দিশেহারা হয়ে পড়ে টাইগার ব্যাটসম্যানরা। দুই ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ রানের রেকর্ডও গড়ে। প্রথম ইনিংসে ৩২০ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ৯০ রানে। গত এক দশকে যা বাংলাদেশের সর্বনি¤œ স্কোর।
দ্বিতীয় টেস্টে প্রোটিয়া দলে নেই বোলিংয়ে তাদের আরেক ভরসা মরনে মর্কেল। ফলে পেস আক্রমণের দায়ীত্ব এখন ২২তম টেস্ট খেলতে যাওয়া কাসিগো রাবাদার উপর। তার সঙ্গি হতে পারেন ওয়াইন পার্নেল ও ডেন অলিভার, যাদের মিলিত টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা ৯টি। প্রথম টেস্টে অভিষেক হয় অ্যান্ডিল ফেলুকায়োর। আজ অভিষেক হতে পারে ডেন প্যাটারসনের। তার মানে দ্বিতীয় টেস্টে অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণকে সামনে পাচ্ছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে নিজেদের প্রমাণের এটাই তাই হতে পারে বাংলাদেশের জন্যে মোক্ষম সুযোগ।
এক্ষেত্রে মুশফিকদের প্রধাণ প্রতিপক্ষ হতে পারে বøুমফন্টেইনের পিচ। ঐতিহ্যগতভাবে বøুমফন্টেইনে ম্যানগুয়াং ওভালের এই উইকেট ফ্ল্যাট। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার চাওয়া অনুযায়ী সেখানে কিছুটা প্রাণ দেওয়া হয়েছে যেন পিচ থেকে সবাই কিছুটা বুঝে নিতে পারে। সবুজ ঘাস তুলে বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে তা সপ্তাহ খানেক ধরে ঢাকা রয়েছে। এই কারণেই সেখানে বাড়তি কিছু থাকতে পারে বলে সবার ধারণা। আবহাওয়া অফিস বলছে আগামীকাল খেলা চলবে ভালোমতই, তবে বৃষ্টির কবলে পড়তে পারে দ্বিতীয় দিনের খেলা।
এখন পর্যন্ত এখানে চারটি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চারটিতেই একক প্রতাপ দেখিয়ে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিটা জয়েই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে পেসাররা। এই মাঠের শীর্ষ পাঁচ বোলারই পেসার। রাবাদার সাথে এদিন তাই জ্বলে উঠতে পারেন অলিভার। অলিভারের ঘরের মাঠ এটি। গেল মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (১৮.১৩ গড়ে ৫২ উইকেট) একাই আসতে পারেন হন্তারকের ভূমিকায়। অবশ্য একই সুযোগ থাকবে মুস্তাফিজ-তাসকিনদের জন্যেও। দরকার কেবল সামর্থ্যরে পুরোটা ঢেলে দেওয়া।
বাংলাদেশ দলে অবশ্য রাবাদা-অলিভারদের সামলানোর মত প্রতিভার অভাব নেই। পচেফস্ট্রুমে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান এসেছিল মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। তামিম নেই, মুশফিক-মাহমুদুল্লার সাথে শান্ত স্বভাবের মুমিনুল যদি এই ধারা ধরে রাখতে পারেন, তারুণ্যের পতাকা হাতে সাব্বির-লিটনরা যদি জানান দেন নিজেদের, আর ওপেনিংয়ে যদি সৌম্য-ইমরুল জ্বলে ওঠতে পারেন তাহলে ভালো কিছুর আশা করতেই পারে বাংলাদেশ। টাইগার দলপতি মুশফিকও তেমন আশার বাণীই শুনিয়েছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সিরিজে ঘুড়ে দাঁড়ানো। আশা করছি, আমরা সফল হবো। অবশ্যই এ ম্যাচে ভাল কিছু করতে হবে নতুবা আমাদের জন্য খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে।’
তবে ওপাশ থেকেও এসেছে ছাড় না দেয়ার হুঙ্কার। প্রথম টেস্টের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস, ‘নিখুঁত অলরাউন্ড পারফরমেন্স হয়েছিলো আমাদের। আশা করি এখানেও তা অব্যাহত রাখতে পারবো। আমাদের লক্ষ্য থাকবে নিজেদের সেরাটা বের করে আনা । আমরা ম্যাচ জিততে চাই। পাশাপাশি সিরিজও জিততে চাই।’
# ম্যানগুয়াং ওভালে আগের চার ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বশেষটি ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে, ইনিংস ও ১২৯ রানের ব্যবধানে।
# দক্ষিণ আফ্রিকায় কোন বাংলাদেশির সেঞ্চুরি স্কোর নেই। দু’জনের সামনে সুযোগ শতকের সাথে ক্যারিয়ারের ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা। এজন্য মাহমুদুল্লার প্রয়োজন ১১৬ রান, মুমিনুলের ১৭৫।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।