হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিধন অভিযান যেন কিছুতেই শেষ হতে চাইছে না। সারা বিশ্বব্যাপী মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের এ বর্বর অভিযানের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠলেও মিয়ানমার সরকার যেন সেইসব কিছুকেই পাত্তা দিতে চাইছে না। গত ২৫ আগস্ট শুরু হওয়া এ রোহিঙ্গা গণহত্যা, নির্যাতন ও বিতাড়ণ অভিযান এবার নতুন করে শুরু করা হয়েছে আকিয়াবে। কত বিচিত্রভাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, মুসলিমবিদ্বেষী মগ ও অন্যান্য উগ্র বৌদ্ধনেতারা তাদের মানবতা-বিরোধী এ অপরাধ কার্য চালিয়ে যাচ্ছে, তার একটা তালিকা গত মঙ্গলবার বেরিয়েছে ঢাকার একটি বাংলা দৈনিকে। এসব অপরাধ কর্মের মধ্যে রয়েছে : গুলি করে হত্যা, গলা কেটে হত্যা, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, পিটিয়ে হত্যা, পানিতে চুবিয়ে হত্যা, নারী শিশুদের ধর্ষণ, রকেটলাঞ্চার আক্রমন, হেলিকপ্টার থেকে বোমা ফেলে হত্যা, লুটপাট, বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ, জমি দখল, ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ ইত্যাদি।
চোখের সামনে এসব বর্বর অভিযান দেখার পর প্রাণের ভয়ে যে যেদিকে পেরেছে, পালিয়ে বাঁচতে চেষ্টা করেছে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের নিকটতম রাষ্ট্র বাংলাদেশে যারা পালিয়ে আসতে পেরেছে তাদের মুখে এসব তথ্য মানুষ জানতে পেরেছে নিকটবর্তী টেকনাফ, কক্সবাজার প্রভৃতি এলাকায় আগত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে।
শত শত বছর ধরে মিয়ানমারে বসবাস করলেও এসব রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, মগ ও উগ্র বৌদ্ধদের কাছে তারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়। রোহিঙ্গাদের অপরাধ তারা ধর্মবিশ্বাসে মুসলমান, আর মিয়ানমারের অধিকাংশ বাসিন্দা ধর্মবিশ্বাসে বৌদ্ধ। কিন্তু তারা কি বিশ্বে এমন কোন দেশের দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন, যেখানে শুধু এক ধর্মের লোকই বসবাস করে? পারবেন না। হিন্দু প্রধান ভারতে বাস করে বহু মুসলমান, শিখ, খৃস্টান। বাংলাদেশ একটি মুসলমান-প্রধান দেশ হলেও এদেশে বাস করে বহু হিন্দু, খৃস্টান, এমন কি বহু বৌদ্ধও। মুসলমান-প্রধান বাংলাদেশে যদি বহু বৌদ্ধ বাস করতে পারে, তা হলে বৌদ্ধ-প্রধান মিয়ানমারে বহু মুসলমান বসবাস করবে তাতে আর বিচিত্র কি?
মিয়ানমারের বৌদ্ধ ধর্মলম্বী সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং অন্যান্য বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ জানেন কি না জানিনা, আজ মিয়ানমারের অধিকাংশ অধিবাসী বৌদ্ধ হলেও বৌদ্ধ ধর্মের আদি জন্মভূমি মিয়ানমার বা বর্তমান বিশ্বের কোন বৌদ্ধ প্রধান দেশ নয়। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ জন্ম গ্রহণ করেন ভারতে এবং ভারতেই তিনি শান্তি ও অহিংসার ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন। বিশিষ্ট বৌদ্ধ গবেষক বিশ্বেশ্বর চৌধুরী তাঁর “টেকনাফ থেকে খাইবার” নামক গ্রন্থে বলেছেন, ভারতীয় উপমহাদেশে প্রত্মতাত্তি¡ক খননকার্য চালাতে গেলে যে যত্রতত্র বৌদ্ধ মূর্তি পাওয়া যায়, তার কারণ, একদা এই উপমহাদেশের সর্বত্র বৌদ্ধ বসতি গড়ে উঠেছিল। পরবর্তীকালে চরম বৌদ্ধ-বিরোধী এক হিন্দু শাসকের শাসনামলে ভারত থেকে বৌদ্ধ-খেদা অভিযান চালানো শুরু হয়। এ অভিযানকে ধর্মীয় উন্মাদনায় শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় নেতাদের নামে ঘোষণা দেয়া হয়, কোন বৌদ্ধকে দেখা মাত্র যে তাকে হত্যা করবে সে চিরকাল স্বর্ণসুখ লাভে ধন্য হবে। পক্ষান্তরে কোন বৌদ্ধকে দেখা সত্তে¡ও যে তাকে হত্যা করবে না, সে চিরকালের জন্য নরকবাসী হবে। এই ঘোষণায় উদবুদ্ধ হয়ে উপমহাদেশে যে বৌদ্ধ নিধন অভিযান শুরু হয়, তাতে অসংখ্য বৌদ্ধ প্রাণ হারান। বাকীরা উত্তরে তিব্বত, চীন, পূর্বে মিয়ানমার (সাবেক ব্রহ্মদেশ বা বার্মা), থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা (সাবেক সিংহল) প্রভৃতি দেশে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান।
যারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হননি তারা কোনক্রমে দেশের মধ্যেই নি¤œবর্ণের হিন্দু হিসাবে কোন ভাবে পৈত্রিক প্রাণ রক্ষার প্রয়াস পান। পরবর্তীকালে এদেশের সঙ্গে সাম্য-ভ্রাতৃত্বের ধর্ম ইসলামের পরিচয় ঘটে সমুদ্র-পথে আসা আরব বনিকদের মাধ্যমে। আজকের বাংলাদেশ ও তৎসন্নিহিত অঞ্চল সমূহে যে ইসলামের প্রচুর অনুসারী দেখা যায়, তার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এটাই। এককালের নিপীড়িত বৌদ্ধরা দলে দলে সাম্য-ভ্রাতৃত্বের ধর্ম ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল এ কারণে যে, এই দুই ধর্মের কোনটাতেই ব্রাহ্মবাদের মত জাতিভেদ প্রথার কুপ্রভাব ছিল না।
মিয়ানমারের মুসলিম-বিদ্বেষী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সেনা সদস্য এবং অন্যান্য অধিবাসীরা বৌদ্ধ ধর্মের জন্ম কোন্ দেশে, এবং কোন্্ পটভূমিতে তাদের ধর্মের আদি জন্মস্থান ভারত থেকে বহিষ্কৃত হয়ে উত্তরে তিব্বত, চীন, পূর্বে মিয়ানমার, থাইল্যান্ডে, জাপান, এবং দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি দেশে বসতি গড়তে হয়েছিল, তা জানলে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে রোহিঙ্গা-বিরোধী বর্বর অভিযানে লিপ্ত হতেন না। শুধু তাই নয়, বৌদ্ধ ধর্মের মত একটা শান্তি,সাম্য ও অহিংসাপন্থী ধর্মের নামেও অযথা কালিমা লেপনের কাজে অবতীর্ণ হতেন না।
এককালের বার্মা তথা বর্তমানের মিয়ানমারে যতদিন গণতন্ত্র ছিল ততদিন কিন্তু রোহিঙ্গা নিয়ে কোন সমস্যা হয়নি। বার্মার স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা নেতৃত্বদেন তারা বৌদ্ধ-মুসলমান মিলিতভাবে সে সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। তাদের শ্লোগান ছিল: ‘বার্মা ফর বার্মিজ’, অর্থাৎ বার্মা হবে সকল বার্মাবাসীর জন্য। তবে সে সময় বার্মার ঔপনিবেশিক শাসক বৃটেনের উদ্দেশ্য ছিল বার্মার বৌদ্ধ ও মুসলমানের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করে দেয়া। তারা যে শ্লোগান তাদের শেখাতে চেষ্ট্ াকরে তা ছিল: বার্মা ফর বার্মিজ বুদ্ধিষ্টস। অর্থাৎ বার্মা হবে শুধু বার্মার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য। এর মাধ্যমে বুঝাতে চেষ্টা চালানো হলো যে, বার্মার মুসলমানরা বহিরাগত। অথচ এর চাইতে বড় অসত্য আর কিছুই হতে পারে না। কারণ বার্মার সমুদ্র সন্নিহিত অঞ্চল আর বাংলাদেশের সমুদ্র-সন্নিহিত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার প্রভৃতি অঞ্চলের সঙ্গে সমুদ্রগামী আরব বনিকদের মাধ্যমে ইসলামের সম্পর্ক পড়ে ওঠে একই সাথে শত শত বছর আগে বর্মায় বর্মীদের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বহু পূর্ব থেকেই।
রোহিঙ্গা সমস্যা হঠাৎ করে শুরু হয়েছে এমনও নয়। পাকিস্তান আমলেও বার্মা থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নের অপচেষ্টা চালানো হয়। এই নিয়ে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভনরের নেতৃত্বে বার্মার প্রতিনিধিদের সফল আলোচনার পর বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজী হয় বার্মা। এবার ২৫ আগস্ট নতুনভাবে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়ন শুরু হওয়ার পর সকলকে অবাক করে দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিয়ানমার যান তিন দিনের শুভেচ্ছা সফরে। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়ন শুরু হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে আগত লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কারণে বাংলাদেশ যখন সমস্যাগ্রস্ত, তখন কি করে বাংলাদেশের ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ ভারতের নেতা ঐ দেশে শুভেচ্ছা সফরে যেতে পারলেন, তা ভেবে আমরা অবাক হয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, ভারতের কেনদ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সে সময় আরও ঘোষণা দেয়া হয়, ভারতে অনুপ্রবেশকারী সকল রোহিঙ্গাকে ভারত থেকে বিতাড়ন করা হবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সে সিদ্ধান্তের সাথে একমত হতে পারেননি সে দেশেরও অনেক নেতা। তাঁদের অন্যতম ভারতের পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কেন্দ্রের ঐ সিদ্ধান্তের প্রকাশ্য বিরোধিতা করে ঘোষণা দিয়েছিলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তিনি জোর করে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফেরৎ পাঠাবেন না। তিনি বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের মত বিপন্ন রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে আশা প্রকাশ করেন মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরৎ নিয়ে তাদের মানবিকতা ও শান্তিপ্রিয়তার প্রমাণ দেবেন।
মিয়ানমারে এক পর্যায়ে গণতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটে এবং সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হয়, একথা সবাই জানেন। সামরিক শাসকরা সে দেশের জনগণের নেত্রী অং সান সুচিকেও সে সময় বন্দী করে রাখে। সুচি গণতন্ত্রের দাবীতে অটল থেকে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ লাভ করেন। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে অং সান সুচির সাথে সেনা নেতৃত্বের যোগাযোগ হয়। তাদের মধ্যে কী একটা সমঝোতা হয়, তা তাঁরাই ভাল জানেন। সেনাবাহিনী দেশে নির্বাচন দিতে রাজী হয়। নির্বাচনে সুচির দল জয়ী হয়। ফলে সুচির দল সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার হয়।
তবে পরবর্তী কালের ঘটনাবলী থেকে বাইরের পর্যবেক্ষকদের এ ধারণা দৃঢ় হয়েছে যে, দেশে লোক দেখানো গণতন্ত্রের শাসন চালু হলেও মূল ক্ষমতা এখনও সেনাবাহিনীর হাতেই রয়ে গেছে। নির্বাচনে সুচির দলের জয়ের পরও সেনাবাহিনীর কর্মকাÐেই সেটা প্রমাণিত হচ্ছে। আরও দুটি ঘটনাও মানুষের এ ধারণাকে শক্তিশালী করেছে। এর একটি হল, অং সান সুচির জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান থেকে বিরত থাকা। দ্বিতীয়টি ছিল জাতিসংঘের বদলে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমে তিনি যে ভাষণ দেন, সেটা। এ ভাষণে জনগণ সুচির মুখে যা শুনতে পেল, তার সাথে অতীতের অং সান সুচি গণতন্ত্রের সৈনিক হিসাবে যেসব ভাষণ দিতেন তার ছিল আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এ ভাষণে সুচি প্রমাণ করলেন তিনি এখন আর গণতন্ত্রের সেই লড়াকু সৈনিকটি নেই, তিনি এখন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হিসাবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতিটি ভূমিকার অকুণ্ঠ সমর্থক বনে গেছেন।
এতে আরও প্রমাণিত হলো, মিয়ানমারের বর্তমান সরকারের অনেক নীতির বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ যেসব প্রশ্নে নিন্দামুখর, তার অধিকাংশেরই কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারবেন না বলেই তিনি জাতি সংঘের বর্তমান সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে সাহস করেননি। তাঁর এই ভূমিকা দীর্ঘদিন বজায় থাকলে এমন দিন আসতে বিলম্ব হবে না, যেদিন বিশ্বের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল অং সান সুচি যে একদিন গণতন্ত্রের লড়াকু সৈনিক ছিলেন, সে কথাও ভুলে যেতে বাধ্য হবে।
মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃবৃন্দ যারা ভবিষ্যতে যে ভূমিকাই পালন করুন, মিয়ানমার সম্পর্কে বিশ্বজনমত সে চিরকাল এক স্থানে বসে থাকবে না এটা সুনিশ্চিত। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে যথাশীঘ্র রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারের পূর্ণ নাগরিক মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে নিতে এবং তাদের জন্মভূমিতে তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচ আরের হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যাÐি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতার জন্য মিয়ানমার দায়ী, তাদেরই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দিয়ে ফেরৎ নিতে হবে মিয়ানমারকে।
ফিলিপ্পো গ্রাÐি আরও বলেছেন, শুধু ফেরৎ নিলেই চলবে না, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মর্যাদার সঙ্গে নাগরিক হিসাবে যাতে তারা বৈষম্যহীনভাবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ফেরৎ নেয়ার পর রোহিঙ্গাদের উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও মর্যাদার জন্য মিয়ানমার সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রাখাইনে অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে হবে। রোহিঙ্গাসহ কেউ যেন সারা বিশ্বে আর শরণার্থী হতে বাধ্য না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে না পারা জাতিসংঘ বা ইউএনএইচ আরের জন্য লজ্জা বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রহীন করে রেখেছে উল্লেখ করে গ্র্যাÐি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের উৎস মিয়ানমারে সমাধান, ও তাকেই করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।