বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারের ইনানী সৈকতের পাথুয়ারটেক এলাকায় রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় আরও চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী সৈকতের পাথুয়ারটেক এলাকার সাগর থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল।
তিনি জানান, জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা মরদেহগুলোর মধ্যে ৩ জন শিশু ও একজন নারী রয়েছে। রোহিঙ্গাবোঝাই এ নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হলো।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নৌকাডুবির ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল। এদের মধ্যে ৯ জন শিশু ও ৭ জন নারী ছিল।
আফরুজুল হক টুটুল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে ইনানী সৈকতের পাথুয়ারটেক এলাকার সাগরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জীবিত অবস্থায় উদ্ধার ২৭ জনের মধ্যে ৯ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধারকৃতদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নৌকা ডুবির সময় সাগরে দমকা হাওয়া এবং ভাটার টান ছিল। এতে ইনানীর পাথুয়ারটেক এলাকার সাগরে নৌকাটি উল্টে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে শিশুসহ ৮০ জন নারী-পুরুষ ছিল বলে উদ্ধার হওয়ারা জানিয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া এবং সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের নজরদারী রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
নৌকাডুবির পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার বুচিডং থানার মইডং এলাকার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে আব্দুস সালাম বলেন, নৌকাডুবিতে আমার স্ত্রী, এক ছেলে, মা, ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তান এবং বোন ও সন্তানসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মিয়ানমারে আমাদের গ্রামে সেনাবাহিনী হামলা চালানোর পর ৩ দিন পর্যন্ত পাহাড়ি দুর্গম এলাকা পার হয়ে গত বুধবার রাত ৯ টার দিকে নৌকায় রওনা হই।
তিনি বলেন, নৌকাটিতে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৮০ জন ছিলাম। এদের অধিকাংশই শিশু। বৃহস্পতিবার বিকেলে নৌকাটি সাগরে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে। এতে নৌকার মাঝি দিক হারিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে ইনানীর সৈকতের পাথুয়ারটেক এলাকার সাগরে উল্টে যায়।
আব্দুস সালাম অভিযোগ করে বলেন, নৌকার মাঝির সঙ্গে কথা ছিল আমাদের দুই পরিববারের ১৪ জনকে নিয়ে রওনা দেবে। কিন্তু আমাদের উঠানোর পর বিভিন্ন স্থান থেকে ৬৬ জন লোক উঠায়। নৌকাটি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর কিছুদূর সাগরে আসলে মালামাল ভর্তি বস্তাগুলো ফেলে দেয়।
মৃতদেহগুলো স্থানীয়ভাবে দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। একই সাথে নিখোঁজ কেউ আছে কি না তা ও দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।