২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
আমাদের দেশে মুখের আলসার বা ক্ষতের চিকিৎসায় মলম ও ভিটামিন দ্বারা মুখস্থ চিকিৎসা দেওয়া এবং গ্রহণ করার একটি প্রবনতা রয়েছে। মুখের আলসারের চিকিৎসায় আলসারের সংখ্যা, স্থান, আকার, আকৃতি এবং ধরণ সব কিছু দেখে শুনে তবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে আলসারের চিকিৎসায় কোন্ ওষুধ প্রদান করতে হবে। কখনো কখনো মুখের অভ্যন্তরে একের অধিক বা অনেকগুলো আলসার দেখতে পাওয়া যায় যা ভাইরাস সংক্রমনের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। যেমন (ক) কক্সস্যাকি ভাইরাস। (খ) হারপিস ভাইরাস। (গ) বার বার মুখের আলসার।
বার বার মুখের আলসার ভাইরাসজনিত কারণে হয়ে থাকে, আবার বিশেষ একটি ভিটামিনের অভাবেও হতে পারে। এক্ষেত্রে যথাযথ কারণ নিরুপন না করে চিকিৎসা প্রদান করলে রোগীর আলসার ভাল হবে না। ভাইরাসের কারণে আলসার হলে মলম প্রয়োগ আপনার কোনো কাজে আসবে না। আবার সঠিক ভিটামিন প্রদান না করলে তাও রোগের চিকিৎসায় ভূমিকা রাখবে না। ট্রমাটিক বা আঘাতজনিত আলসার বা ক্ষত গোলাকার বা ক্রিসেন্টিক হয়ে থাকে। মুখের আলসার অসম এবং কোয়ালেসিং জাতীয় হলে তা সাইটোমেগালো ভাইরাসজনিত আলসারের ধারণা দেয়। আবার অসম আলসার হারপিস ভাইরাসজনিত মুখের আলসারও হয়ে থাকে। জিহŸার টিউবারকুলাস আলসার অ্যাংগুলার ও ষ্টিলেট আকৃতির হয়। অ্যাংগুলার বলতে বুঝায় যার সার্প অ্যাংগেল রয়েছে। ষ্টিলেট বলতে বুঝায় ষ্টার আকৃতির। যে কোনো আলসারের মার্জিন বলতে বুঝায় স্বাভাবিক এপিথেলিয়াম এবং আলসারের সংযোগস্থলে। আলসারের এজ বলতে বুঝায় মার্জিন এবং আলসারের ফ্লোরের সংযোগস্থল। পানচড্ আউট আলসার টারসিয়ারি সিফিলিসের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। য²াজনিত আলসার সাধারণত আন্ডারমাইনড্ বা ওভারহ্যাংগিং থাকে।
মুখের আলসারের বেস হলো আলসার যে স্থানে বিশ্রাম নেয়। কোনো আলসারের বেস যদি ইনডুরেটেড বা শক্ত থাকে এবং অন্য কিছুর সাথে সংযুক্ত থাকে তাহলে ধারণা করা যায় ঐ আলসার ক্যান্সারের দিকে রূপান্তরিত হচ্ছে বা হয়ে গেছে। পালপেশন করে যদি এমন কিছু অনুভব করা যায় তাহলে বায়োপসি করা অতীব জরুরী। কোনো আলসারের এজ যদি উচু, ভাজযুক্ত এবং বাহিরের দিকে থাকে তাহলে ঐ আলসারকে ম্যালিগন্যান্ট আলসার হিসাবে বিবেচনায় আনতে হবে। কোনো আলসারের ¯েøাপিং এজ দেখতে পেলে বুঝতে হবে যে, আলসারটি ভাল হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভিটামিন সি সেবন করাই যথেষ্ট। তাই বলে মুখের আলসার হলেই ভিটামিন সি সেবন করা যাবে না। মুখের আলসারের চিকিৎসায় মাঝে মাঝে দেখা যায় অনেকেই এসেনসিয়াল অয়েল মাউথওয়াশ ব্যবহার করছেন যার ফলে মুখের আলসার ভাল হওয়ার পরিবর্তে দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটে থাকে। তাই মুখের আলসারের চিকিৎসায় ওষুধ সমৃদ্ধ মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
ষ ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল: ০১৮১৭-৫২১৮৯৭
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।