পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের যুগোপযোগী আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার সবসময়ই আন্তরিক, সচেষ্ট।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের প্রধান চট্টগ্রাম বন্দরকে জাতীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। ভবিষ্যতের চাহিদা সামনে রেখে বন্দরের উন্নয়ন, দক্ষতা ও গতিশীলতা আরও বাড়াতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে অধিকতর বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। গতকাল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবালের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ তাগিদ দিয়েছেন। সকালে বন্দর ভবনে এসে পৌঁছালে সালমান এফ রহমানকে স্বাগত জানান বন্দর চেয়ারম্যান। এরপর বন্দরের সভাকক্ষে তারা সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পকিল্পনা) জাফর আলম ইনকিলাবকে বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বন্দর ভবনে আসেন এবং চেয়ারম্যানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
জানা যায়, সৌজন্য সাক্ষাতকালে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বন্দরের সার্বিক কর্মকান্ড ও অগ্রগতি উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে চট্টগ্রাম বন্দরকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সার্বক্ষণিক সচল রাখা হয়েছে। বন্দরের গতিশীলতা ও সক্ষমতা বাড়াতে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনালের পাশাপাশি বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াও এগিয়ে চলছে। বন্দরে জাহাজ জট কমাতে নতুন নতুন জেটি-বার্থে জাহাজ ভিড়ানো হচ্ছে। খালি কন্টেইনার সরিয়ে নিয়ে ইয়ার্ডে জায়গার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।
এরফলে বন্দরের গতিশীলতা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আমদানি-রফতানিসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে সেবার পরিধি বাড়ছে। বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন বন্দর চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা, এফবিসিসিআইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গ্রুপ বেক্সিমকোর কর্ণধার সালমান এফ রহমান বন্দরের সার্বিক কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে বন্দরের উন্নয়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর উপর তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়ন করতে হলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এ ব্যাপারে সম্পৃক্ত করতে হবে। বন্দরের যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে তার পুরোটা কাজে লাগানোর উপরও গুরুত্বারোপ করেন দেশের সফল এ শিল্পোদ্যোক্তা। সৌজন্য সাক্ষাত প্রসঙ্গে বন্দর সচিব ওমর ফারুক ইনকিলাবকে বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বন্দরের সার্বিক কর্মকান্ডের খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি বন্দরে উন্নয়ন ও গতিশীলতা বাড়াতে বেসরকারি খাতে অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সাথে সালমান এফ রহমানের সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠানে বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর জুলফিকার আজিজ, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর শাহীন রহমান, বন্দর সচিব ওমর ফারুকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।