Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে ৩ জেএমবি জঙ্গির ৭ বছরের কারাদন্ড

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এজলাসে বইবোমা হামলার ১২ বছর পর রায়
চট্টগ্রামের আদালত ভবনে দুই বিচারকের এজলাসে বইবোমা হামলার ঘটনায় তিন জেএমবি জঙ্গিকে ৭ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। ওই ঘটনার প্রায় একযুগ পর গতকাল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া মামলার রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিত আসামিরা হলেন- নিষিদ্ধঘোষিত জামায়াতুল মোজাহেদিন বাংলাদেশ-জেএমবি চট্টগ্রামের কমান্ডার জাবেদ ইকবাল ওরফে মোহাম্মদ, শাহাদাত আলী এবং জেএমবির বোমা কারিগর জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি সাইফুন নাহার খালেক বলেন, হত্যাচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩০৭ ও ১০৯ ধারায় তিন আসামির প্রত্যেককে দুটি মামলায় ৭ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুই মামলার সাজা একই সাথে কার্যকর হবে। প্রত্যেক মামলায় আসামিদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় গ্রেফতার দুই আসামি জাবেদ ইকবাল ও শাহাদাত আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামি জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান পলাতক।
২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহ আদালতে নেয়ার পথে ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে গুলি ও বোমা ছুঁড়ে ছিনিয়ে নেয়া তিন জঙ্গির একজন বোমা মিজান। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ অক্টোবর দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এবং মহানগর হাকিম আকরাম হোসেনের এজলাসে জঙ্গিরা বইয়ের ভেতর লুকানো বোমা ছুঁড়ে মারে। বই বোমা ছুঁড়ে মারার সময় বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এবং আকরাম হোসেন এজলাসেই ছিলেন। তবে ওই বোমা দুটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি।
পরে পুলিশ ও আইনজীবীরা ধাওয়া দিয়ে আবদুল মালেক লাল্টু ও শাহাদাত আলী নামের দুই জঙ্গিকে ধরে ফেলে। এ ঘটনায় ওইদিনই নগরীর কোতোয়ালী থানায় দুটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। ওই মামলার আসামিরা ছিলেন- আবদুল মালেক লাল্টু, ওরফে মোহাম্মদ, শাহাদাত আলী এবং জেএমবির বোমা কারিগর জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান, শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমান সানি। পরে লাল্টু মারা যায়। অন্য মামলায় শায়খ আবদুর রহমান এবং আতাউর রহমান সানির ফাঁসি হয়। তাই এ দুটি মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়। ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই মামলা দুটিতে অভিযোগ গঠন হয়। ২০০৮ সালের ২৭ জানুয়ারি শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। মামলা দুটির একটিতে ১৮ জন এবং অন্যটিতে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জেএমবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ