পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বনানী থেকে নিখোঁজ হওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ভবিদ্যালয়েরের শিক্ষার্থী সাফায়েত হোসেন প্রায় দশ মাস পর অবশেষে ঘরে ফিরেছেন। গত শুক্রবার ভোরে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় চোখ বাঁধা অবস্থায় নামিয়ে দিয়ে যায়। পরে সিএনজিযোগে পুরান ঢাকার বাসায় ফেরেন সাফায়েত।
সাফায়েতের ঘরে ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে তার বাবা মো. আলী হোসেন শনিবার রাতে বলেন, আমার বুকের মানিক ফিরেছে। সবার দোয়া ছিল। ১০ মাস পর আমার ছেলেকে ফিরে পেয়েছি। ওরা অন্ধকারে তাকে বন্দী করে রেখেছিল। খেতে দিয়েছিল, নির্যাতনও করেনি। তবে অন্ধকার থেকে বের হতে দেয়নি তাকে।
সাফায়েতের বাবা মো. আলী হোসেন আরো বলেন, ছেলের ঘরে ফেরার আশায় ছিলাম। বিশ্বাস রেখেছিলাম আমার ছেলে সাফায়েত জঙ্গিবাদে জড়ায়নি। সে কথাই এখন সত্যি হল। যদিও অনেকের কথা উৎকণ্ঠা বাড়িয়েছিল।
তিনি বলেন, অপহরণকারীরা আমার ছেলেকে গত বছরের ১ ডিসেম্বর তুলে নিয়ে যাবার পর একদিনও সূর্যের আলো দেখতে দেয়নি। অপহরণকারীদের উদ্দেশ্য কী ছিল তা বোঝা কঠিন, তবে খারাপ ব্যবহার বা নির্যাতন করেনি। খাওয়া, গোসল ও টয়লেট যাওয়ার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরে যেতে পারেনি সাফায়েত।তিনি আরো বলেছেন, ছেলে ফিরে আসার ব্যাপারে বনানী থানায় জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী থেকে একযোগে সাফায়েত হোসেন, জায়েন হোসেন খান পাভেল, সুজন ঘরামি ও মেহেদী হাওলাদার নামে চার যুবক নিখোঁজ হন। এদের মধ্যে সাফায়েত ও পাভেল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পর্যায়ক্রমে মেহেদী হাওলাদার, সুজন ঘরামি এবং পাভেল ঘরে ফিরলেও শুধু বাকি ছিল সাফায়েতের ঘরে ফেরা। ওই ঘটনায় ২ ডিসেম্বর বনানী থানায় জিডি করেন সাফায়াতের বাবা মো. আলী হোসেন (জিডি নং ১১৯)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।