নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
১৯তম জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় বড় সংগ্রহ গড়েছে খুলনা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ১৭৬ রানে বরিশালের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছে খুলনা। প্রথম ইনিংসের ঘাটতি মেটাতেই এখনো ২৭৩ রান করতে হবে বরিশাল বিভাগকে।
জতীয় লিগের চার ম্যাচের মধ্যে এই একটি ম্যাচই কেবল রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে। স্বাগতিক রাজশাহীর বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৪১৯ রান সংগ্রহ করা চট্টগ্রামের ম্যাচটি দিচ্ছে ড্রয়ের আভাস। বাজে আউটফিল্ডের কারণে বাকি দুই ম্যাচ তো এখনো শুরুই হয়নি। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ ও রংপুর বিভাগের মধ্যকার ম্যাচের মত কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রো ও সিলেট বিভাগের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলাও পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়।
দ্বিতীয় দিনে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন খুলনার মেহেদী হাসান। ১৬৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন দিন শুরু করেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতকটা পান কিনা সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু পাননি। আউট হয়েছেন ১৭৭ রানে। ২৯০ বলে ১৬টি চার ও ২ ছক্কায় ইনিংটি সাজান এই ডানহাতি টপঅর্ডার। ৩ উইকেটে ৩৪৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা খুলনা বিভাগও গুটিয়ে যায় বাকি ৭ উইকেটে মাত্র ৯৬ রান যোগ করে। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পথে ৭ উইকেটই দখলে নেন বরিশালের বাঁ-হাতি অর্থডক্স বোলার মনির হোসেন।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে এরপর বল হাতেও আধিপত্য দেখায় স্বাগতিকরা। মাত্র ১৩ রানে বরিশাল হারায় ৩ উইকেট, ৯১ রানে ৬টি। নিজের ও ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আবু সায়েমকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। পরের ওভারেই ওয়ান ডাউনে নামা ফজল মাহমুদকে ফেরান আল-আমিন হোসেন। বল হাতে সফল ছিলেন খুলনা অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকও। বরিশালও পড়ে যায় ফলোঅনের শঙ্কায়। এই অবস্থা থেকে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান রাফসান আল মাহমুদ ও নুরুজ্জামান। দু’জনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা।
ওদিকে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে গতকাল খেলা হয়েছে ৬ ওভার বেশি। তারপরও চট্টগ্রামকে অলআউট করতে পারেনি টস জিতে বল বেছে নেওয়া স্বাগতিক রাজশাহী। চট্টগ্রামের কোন ব্যাটসম্যানই তিন অঙ্কের দেখা পাননি তবে দশজনের নয় জনই পেয়েছেন দুই অঙ্কের ছোঁয়া। ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরিপূর্ণ করতে পারেননি ইয়াসির আলী। ব্যক্তিগত ৬৫ ও ৬৮ রানে আউট হয়েছেন ইরফান শুক্কুর ও সাজ্জাদুল হক। এছাড়া ৪৫ বলে ৪৩ রান করেন ইফতেখার সাজ্জাদ। তাসামুল হক খেলেন ১৭৬ বলে ৩৭ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান হলেন কাজি কামরুল ইসলাম (৩২*) ও মেহেদী হাসান রানা (১১*)। দুটি করে উইকেট নেন সাকলাইন সজীব ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (২য় দিন শেষে)
খুলনা-বরিশাল (১ম স্তর)
খুলনা : ১২৪.৩ ওভারে ৪৪৪ (মেহেদী ১৭৭, তুষার ১৩২, আনামুল ৩৬, নুরুল ৩৩; মনির ৭/৮৫, তানভির ২/৬৫, রাব্বি ১/৫৭)।
বরিশাল : রাফসান ৫৮*, নুরুজ্জামান ৫২*, সালমান ৩২; মাশরাফি ১/২৬, আল-আমিন ২/৩২, রাজ্জাক ২/৫০, মেহেদী ১/৪৮)।
৪ উইকেট হাতে রেখে বরিশাল ২৭৩ রানে পিছিয়ে।
চট্টগ্রাম-রাজশাহী (২য় স্তর)
চট্টগ্রাম : ১৩৯ ওভারে ৪১৯/৮ (তাসামুল ৩৭, ইয়াসির ৯৪, ইরফান ৬৫, সাজ্জাদুল ৬৮, ইফতেখার ৪৩, কামরুল ৩২*, মেহেদী ১১*; ফরহাদ রেজা ১/৫৮, শরিফুল ১/৬৯, সানজামুল ১/৮২, সাকলাইন ২/৭৬, শান্ত ২/৪৪)।
ঢাকা মেট্রো-সিলেট ও ঢাকা-রংপুর ম্যাচ দুটিতে মাঠে গড়ায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।