পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হিন্দু ধর্র্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত সিঁদুরে বিপজ্জনক মাত্রায় সীসা রয়েছে। রুটজার্স বিশ^বিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। স্কুল অব পাবলিক হেলথের রুটজার্স গবেষকরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি থেকে সংগৃহীত নমুনার ৮৩ শতাংশ ভারত থেকে সংগৃহীত নমুনার ৭৮ শতাংশে প্রতি গ্রামে কমপক্ষে ১.০ মাইক্রোগ্রাম সীসা পাওয়া গেছে। এদিকে নিউজার্সি থেকে সংগৃহীত নমুনার ১৯ শতাংশে এবং ভারত থেকে সংগৃহীত নমুনার ৪৩ শতাংশে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে প্রতি গ্রামে ২০ মাইকোগ্রাম বেশী সীসা মিলেছে।
স্কুল অব পাবলিক হেলথে এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড অকুপেশনাল হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ও এ গবেষণার সহ লেখক ডেরেক শেনডেল বেেলন, এ সীসার পরিমাণ শরীরের জন্য নিরাপদ মাত্রার নয়। তাই আমরা মনে করি যে সীসামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সিঁদুর যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করা বা আনা উচিত নয়।
সীসা অতি উচ্চ মাত্রার বিষাক্ত বিষ। এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে আই কিউ কমে যাওয়া, আচরণগত সমস্যা এবং শিশুদের বেড়ে ওঠা বিলম্বিত হয়। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোর তথ্যানুযায়ী কমপক্ষে ৪০ লাখ বাড়ির শিশুরা উচ্চ মাত্রার সীসার ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার। এ তথ্যে বলা হয়, কারো রক্তেই সীসার নিরাপদ মাত্রা পাওয়া যায়নি।
আমেরিকান জার্নাল অব পাবলিক হেলথের অক্টোবর সংখ্যায় মন্থন পি. শাহর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, রুটজার্স গবেষকরা সিঁদুরের ১১৮টি নমুনা পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষায় নিউজার্সির দক্ষিণ এশীয় দোকানগুলো থেকে নেয়া ৯৫টি এবং মুম্বাই ও নয়া দিল্লী থেকে নেয়া ২৩টি নমুনা ব্যহার করা হয়। এতে দেখা যায়, এক তৃতীয়াংশ নমুনায় সীসার মাত্রা মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশী।
যদিও উচ্চ মাত্রায় সীসা থাকার কারণে এফডিএ চোখে ব্যবহার করা ভারতের অন্য প্রসাধন সামগ্রী কাজল ও নাইজেরিয়ার তিরো নিষিদ্ধ করেছে, কিন্তু এক দশক আগে ইলিনয় স্বাস্থ্য বিভাগ সিঁদুরের একটি ব্র্যান্ডে উচ্চ মাত্রার সীসা পাওয়া সত্তে¡ও এফডিএ শুধু সাধারণ সতর্কতা জারি করে।
শেনডেল, মার্কিন পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থার বিজ্ঞানী ও গবেষণাপত্রের সহ লেখক মন্থন পি. শাহ এবং স্কুল অব পাবলিক হেলথের রোগ বিস্তার বিদ্যার অধ্যাপক উইলিয়াম হ্যালপেরিন বলেন, আর কিছু না হলেও সিঁদুরে সীসার মাত্রা মনিটর করা এবং সম্ভাব্য ক্ষতির ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করা উচিত।
হ্যালপেরিন বলেন, ১৯৭৮ সালের আগে নির্মিত সীসা ভিত্তিক রং করা বাড়িগুলোতে বাস করা শিশুদের আমরা পরীক্ষা করেছি। আমরা আরো মৃত মস্তিষ্ক কোষ আবিষ্কারের আগে দক্ষিণ এশিয়া সম্প্রদায়ের শিশুদের পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে চাই যে তাদের রক্তে উচ্চ মাত্রার সীসা নেই।
ফিলাডেলফিয়াসহ নিউইয়র্ক ও নিউজার্সি মেট্রোপলিটান এলাকার ৪টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রবেশ করা সিঁদুরের সম্ভাব্য পরিমাণ নিয়ে গবেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হ্যালপেরিন বলেন, তিনি ভারত সফরে গেছেন, সিঁদুর নিয়ে এসেছেন। কিন্তু মার্কিন কাস্টমস তাকে বাধা দেয়নি বা বলেনি যে এ জিনিসটি ক্ষতিকর হতে পারে।
গবেষকরা বলছেন যে সরকারের উচিত জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিষয়টি দেখা এবং ভোক্তাদের উপর সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার ছেড়ে দেয়ার উপরর নির্ভর করা ঠিক হবে না। তারা বলেন, যে সব সিঁদুর এখানে পাওয়া যায় সেগুলোর সংখ্যা এত বেশী যে ঠিক কোনটিতে সীসা আছে কোনটিতে নেই তা নির্ধারণ করা কঠিন।
হ্যালপেরিন বলেন, কে কোন সিঁদুর ব্যবহার করবে সে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ভোক্তাদের উপর নির্ভর করা উচিত হবে না। এটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা এবং বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।