২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
যক্ষা রোগ বা টিউবারকুলোসিস আমাদের দেশে খুব পরিচিত। বাংলাদেশ সহ বিশ্বে প্রতিবছর যক্ষায় প্রচুর রোগী মারা যায়। তাই যক্ষা রোগের ব্যাপারে সবারই জানা উচিত। যক্ষা রোগ আবার অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
যক্ষা রোগী হাঁচি বা কাশি দিলে জীবানু ছড়িয়ে পড়ে। তারপর তা সুস্থ্য মানুষকে আক্রান্ত করে। তবে যক্ষার জীবানু শরীরে ঢুকলেই যে সবার যক্ষা হবে তা নয়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের যক্ষা বেশী হয়। ‘যক্ষা হলে আর রক্ষা নাই’ এ কথার বর্তমানে কোন ভিত্তি নেই। ৬ থেকে ৮ মাস ওষুধ খেলে যক্ষা সম্পূর্ণরূপে সেরে যায়। তবে যক্ষার ওষুধ কোন কোন রোগীরা ৬ মাস খেতে চায়না।
যক্ষার ওষুধ খাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই অনেক রোগী ভাল বোধ করেন। তখন কেউ কেউ ছেড়ে দেন। আবার যক্ষার ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। সেজন্যেও অনেকে যক্ষার ওষুধ খেতে খেতে বাদ দেন। তখন নানারকম বিপত্তি দেখা দেয়। তাই যক্ষার চিকিৎসা থেকে প্রতিরোধের দিকেই সবার নজর দেয়া উচিত। নি¤েœ যক্ষা প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো:
১। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে হবে। অস্বাস্থ্যকর, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যক্ষা বেশী হয়। একঘরে অনেকে অবস্থান করলে সহজেই একজনের থেকে অন্যজনে যক্ষা ছড়াতে পারে। পুষ্ঠিকর খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই জীবনযাত্রার মান বাড়লে যক্ষা রোগ অনেক কমে আসবে।
২। রাস্তাঘাটে কফ ফেলা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আইন করা যেতে পারে। উন্নত বিশ্বে যক্ষার প্রকোপ নেই বললেই চলে। যেখানে সেখানে কফ এবং খুতু ফেলার ফলে বাংলাদেশে যক্ষাসহ সংক্রামক রোগ অনেক বেশী।
৩। বাড়িঘরে প্রচুর আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। আগে যখন যক্ষার ওষুধ ছিলনা তখন স্যানিটোরিয়ামে (যেখানে প্রচুর আলোবাতাস আছে) রোগীকে পাঠানো হতো।
৪। ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাবধান থাকতে হবে। তাদের প্রায়ই যক্ষা রোগীদের সংস্পর্শে আসতে হয়। যক্ষা যেহেতু সংক্রামক রোগ তাই তাদের আক্রান্ত হবার ঝুঁকি অনেক বেশী। সেজন্য মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। যক্ষা রোগীদের হাসপাতালে পৃথক কক্ষ থাকা উচিত। নাহলে অন্য রোগীরাও আক্রান্ত হতে পারে।
৫। কয়েকজন মিলে একই সিগারেট, বিড়ি বা হুক্কা খাওয়া ঠিক নয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে যক্ষা ছড়াতে পারে।
৬। স্কুলগামী শিশুদের যক্ষা হলে স্কুলে পাঠানো উচিত নয়। তাহলে অনেকের মধ্যে জীবানু ছড়িয়ে যাবে। শুধু যক্ষা কেন যে কোন সংক্রামক রোগ হলেই স্কুলে পাঠানো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে।
৭। পাঠ্যসূচীতে স্বাস্থ্য শিক্ষা থাকতে হবে। বিভিন্ন রোগ সহ যক্ষার ব্যাপারে সবাইকে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে।
৮। প্রচার প্রচারণা বাড়াতে হবে। গনমাধ্যমগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
বর্তমানে সরকারসহ বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যক্ষা নির্মূরের চেষ্টা চালাছে। তবে সবাই সচেতন হলেই কেবল যক্ষা পুরোপুরি দূর করা সম্ভব। আশা করি সবাই সচেতন হবেন।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
পুরুষের অক্ষমতা
এখন প্রতিনিয়ত পুরুষত্বহীনতা তথা পুরুষের অক্ষমতা বা দুর্বলতার কথা সমাজে শোনা যায়। আর এতে উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ। ফলে অভিভাবকরা বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
পুরুষত্বহীনতা : প্রকৃত অর্থে এটি পুরুষের যৌন কার্যে অক্ষমতাকেই বোঝায়।
শ্রেণীবিভাগ : মূলত পুরুষত্বহীনতাকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়Ñ
* ইরেকশন ফেইলিউর : অর্থাৎ পুরুষ লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা।
* পেনিট্রেশন ফেইলিউর : অর্থাৎ লিঙ্গের যৌনিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা।
* প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : অর্থাৎ সহবাসে দ্রæত বীর্যস্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব।
কারণসমূহ : প্রধান প্রধান কারণগুলো হলোÑ
*বয়সের পার্থক্য *পার্টনারকে অপছন্দ (দেহ-সৌষ্ঠব, ত্বক ও মুখশ্রী) *দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ *ডাবাবেটিস *যৌনবাহিত রোগ (সিফিলিস, গণোরিয়া) *রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা *যৌনরোগ বা এইডস-ভীতি *নারীর ত্রæটিপূর্ণ যৌনাসন *সেক্স-এডুকেশনের অভাব।
দেখা যায়Ñ উঠতি বয়সের যুবকরা হাতুড়ে ডাক্তারের খপ্পরে পড়ে বা স্বেচ্ছায় বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন নেয় অথবা ভুয়া ওষুধ সেবন করে। এটি মোটেই কাম্য নয়। কারণ, এর পার্শ্বক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত সত্যিকারভাবে পুরুষত্বহীনতার সম্ভাবনা দেখা দেয় যা থেকে পরবর্তীতে আরোগ্য লাভ করা অসম্ভব হয়ে ওঠে। তাই সঠিক রোগ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণই বুদ্ধিমানের কাজ।
ডা. একেএম মাহমুদুল হক খায়ের
ত্বক, যৌন, সেক্স ও এলার্জি বিশেষজ্ঞ
এবং কসমেটিক সার্জন।
সিনিয়র কনসালটেন্ট
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা।
ফোন : ০১৭১৯২১৯৪২৯, ০২৯৩৪২৮৭৬।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।