Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হঠাৎ মাংসপেশী টান ধরলে করণীয়

| প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেশীর ভাগ মানুষই জীবনের কোন না কোন সময় এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। বিশেষ করে হাটুর নিচের মাংসপেশী (যাকে মেডিকেল পরিভাষায় কাফ মাসল বলা হয়) টিতে এই সমস্যা বেশী দেখা দেয়। কারও কারও ক্ষেত্রে রাতে বিছানায় ঘুমের মধ্যে হঠাৎ পায়ের মাংসপেশী টেনে ধরে মনে হয় যেন টেনডনটি ছিড়ে যাবে। তাছাড়াও দেখা যায় বসা থেকে উঠতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে উঠতে পারে না। পায়ের মাংসপেশী টেনে ধরে যাকে মেডিকেল পরিভাষায় মাসল ক্রাম্পিং বা মাসল স্পাজম বলা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন কারণে এই মাংসপেশী টেনে ধরতে পারে যেমন- আমাদের শরীরে রক্তের মধ্যকার ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম কমে যায় তখন এই সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাছাড়া পটাশিয়াম কমে গেলেও হঠাৎ মাংসপেশী টেনে ধরতে পারে। তাছাড়া খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে খেলাধুলার সময় হঠাৎ মাংসপেশী টেনে ধরে বিশেষ করে উরুর পিছনে মাংসপেশীটিকে মেডিকেল পরিভাষায় হ্যামস্ট্রিং বলে ও হাঁটুর নিচে মাংসপেশী যেটিকে কাফ মাসল বলে।
তাছাড়াও কিছু ঔষধ সেবনের ক্ষেত্রে মাংসপেশীর সংকোচন হতে পারে। ডাই-ইউরেটিক্স জাতীয় ঔষধ, যেমন ফ্্রুসিমাইড ।
কিছু ভিটামিনের ঘাটতি জনিত কারণে, মাংসপেশীর সংকোচন হতে পারে। যেমন- থায়ামিন (বি-১) প্যানথোনিক এসিড (বি- ৫) এবং পাইরিডক্সিল (বি-৬)
তাছাড়া যদি পায়ের রক্তনালী গুলোর মধ্যে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না থাকে সেক্ষেত্রেও পায়ের মাংসপেশীগুলো ক্যাম্প বা টেনে ধরতে পারে মেডিকেল পরিভাষায় সেটিকে ইন্টারমিটেন্ট ক্লাউডিকেশন বলা হয়। এটি সাধারণত কাফ মাসল বা হাটুর নিচের মাংসপেশীতে হয়ে থাকে।
করণীয় ঃ
সেহেতু অনেক গুলি কারণে হঠাৎ, মাংশপেশী টোন ধরতে পারে তাই এই ধরনের সমস্যা নিয়মিত হতে থাকলে দ্রæত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং কারনটি নির্ণয় করা। কিছু কিছুক্ষেত্রে সামান্য একটি স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ বা ব্যায়ামই এটি ভাল করার জন্য যতেষ্ট। তাছাড়া হঠাৎ আক্রান্ত হলে, আক্রান্ত স্থানে মৃদু গরম সেক দিয়ে, হালকা ভাবে ম্যাসেজ করুন। সেক্ষেত্রে সাময়িকভাবে কমে যাবে। কিন্তু মাংসল স্পাজম যদি ডিহাই্রডেশেন জন্য হয় সেক্ষেত্রে দ্রæত ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স করতে হবে। তাছাড়া মাংসপেশী রিক্সাক্স করার জন্য কিছু ঔষধেরর ব্যবহার করতে হয়, যেমন- টলপেরিসন হাইড্রোক্লোরাইড, ব্যাকলোফেন, ইপেরিসন হাইড্রোক্লোরাইড, টিজিনাডিন ইত্যাদি
তাছাড়া যারা খেলোয়াড় তাদের ক্ষেত্রে খেলা শুরু করার আগে ওয়ার্মআপ এক্সারসাইজ ও খেলা শেসে কুল ডাউন এক্সারসাইজ করতে হবে, তাহলে খেলার সময় অনাকাঙ্খিত মাসল স্পাজম এড়ানো সম্ভব। যাদের ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ও ভিটামিন এর ঘাটতি আছে তাদের সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে।
ডাঃ এম. ইয়াছিন আলী
বাত, ব্যাথা, প্যারালাইসিস ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ
চীফ কনসালটেন
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল
বাড়ী- ১২/১, রোড-৪/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা।
মোবাইল- ০১৭৮৭-১০৬৭০২

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন