Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সংসদ বিলুপ্ত, সহায়ক সরকার ও সেনা মোতায়েন চায় বাংলাদেশ ন্যাপ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, তফসিল ঘোষণার আগেই সংসদ বিলুপ্ত করা ও বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ২১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। দলটি মনে করে, কোনো দলীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আর একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচন হলে সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা কঠিন। অন্যদিকে শাসকগোষ্ঠীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কিত করার ফলে সেনাবাহিনীই হচ্ছে সর্বশেষ জনগণের আস্থার জায়গা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় এসব দাবি তুলে ধরে দলটি। সভায় বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভ‚ঁইয়াসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
২১ দফা প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ নির্বাচকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরই পরই বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এবং তাদেরকে নির্বাচন পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত নিয়োজিত রাখা, অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, নির্বাচনে অবৈধ অর্থ, কালো টাকা ও পেশিশক্তি ব্যবহার কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, নিরপেক্ষ স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা, ভোটার ও প্রার্থীর এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে প্রার্থীদের এজেন্টদের স্বাক্ষরসহ ভোটকেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অন্তত এক বছরপূর্ব থেকেই সব দলের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে, না ভোটের বিধান সংযুক্ত করা, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিতে হবে, ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি বাদ দেয়া, সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের সুবিধা ও নিরাপত্তা বাতিল করা এবং সব প্রার্থীকেই সেই নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে, যে সব জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতর্কিত তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা, গণমাধ্যমকর্মীদের সকল কেন্দ্রে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার দিতে হবে, স্বাধীন, স্বতন্ত্র ও ক্ষমতাবান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, জনবল ও বাজেটের দিক থেকেও নির্বাচন কমিশনের জন্য সরাসরি প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল ও জোটসমূহের সারাদেশে প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে আনুপাতিক হারে প্রতিনিধি নির্বাচনের বিধান চালু করা, ভোটারের সংখ্যা অনুযায়ী নির্বাচনী এলাকা পুন:নির্ধারণের কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া, ৭ কোটি জনসংখ্যার রাষ্ট্রে ৩০০ সংসদীয় আসন দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও এখন জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। এই বিষয়টি সামনে রেখে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সংসদীয় আসন নির্ধারণ করা এবং রাজধানী ও শহরকেন্দ্রিক জনসংখ্যা অনিয়ন্ত্রিত বিধায় এসব এলাকায় আসন সংখ্যা একবারে নির্ধারণ করে দেয়া, আরপিওর এসব অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক ধারাসমূহ বাতিল করা, নির্বাচনে ধর্ম ও সা¤প্রদায়িকতার ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো, নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা যাতে নির্বিঘেœ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারেন তা নিশ্চিত করা, জাতীয় নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিধান চালু করা এবং গত নির্বাচনসমূহের অভিজ্ঞতার আলোকে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রার্থী ও দলসমূহের নির্বাচনী আচরণবিধি ঢেলে সাজানো। পরে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) সঙ্গে মতবিনিময় করে কমিশন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেনা

৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ