পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠন করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি তফসিল ঘোষণার পূর্বেই চলমান দশম জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ারও দাবি জানায় দলটি।
রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে রোববার বিকেলে অনুষ্ঠিত ইসির সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব দাবি জানান তারা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম এ মুকিনের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়। এ নিয়ে ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। সংলাপে অংশ নিয়ে মোট ১২টি প্রস্তাব দেয় দলটি। এগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ নির্বাচনের কমপক্ষে ছয় মাস আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে তালিকা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশের ব্যবস্থা করা। নির্বাচনের তিন মাস আগ থেকে এবং নির্বাচনের পর কমপক্ষে এক মাস ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান তারা।
এছাড়া জাতীয় নির্বাচন একদিনে না করে প্রতিটি বিভাগে আলাদা আলাদা দিনে নির্বাচন করে একদিনে ফলাফল প্রকাশ করা, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের নির্বাচনের যে কোনো কাজ থেকে দূরে রাখা, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো, প্রবাসীদের ভোটার করে ভোট দানের ব্যবস্থা, প্রতিটি সংসদীয় আসনে সব ধরনের মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ইসির খরচে ও উদ্যোগে অংশ নেয়া সব প্রার্থীকে একই মঞ্চে পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিচিত সভা করা। দেশের সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের জন্য আনুপাতিক হারে সংসদে আসন সংরক্ষিত রাখা, ব্যালটে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা এবং সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় এ বৈঠক। গত ৩১ জুলাই সুশীলসমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ইসি। এছাড়া ২৪ আগস্ট থেকে দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু হয়।
অন্যদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন চায় না ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন। গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে এসব দাবি তুলে ধরে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন। দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহানারা বেগম আলোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে সংলাপে বসে। এ সময় ইসির কাছে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা। দলটি মনে করে বিশেষ প্রয়োজনে পরিস্থিতি অনুযায়ী বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনী নিয়োগ করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের অন্যান্য দাবিগুলো হলোÑ দলীয়ভাবে ধর্মকে ব্যবহার না করা, ধর্মের নামে রাজনীতি করে এমন দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেয়া, সকল দলের সমান সুযোগ দেয়া, ভোটার সংখ্যা অনুপাত এবং প্রশাসনিক এরিয়া বিবেচনায় রেখে সংসদীয় এলাকা নির্ধারণ করা। এ ছাড়াও নিবন্ধিত দল মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের হলে, দেশদ্রোহী কাজ না করলে এবং সেই দল নির্বাচনে কখনো অংশ না নিলে তার নিবন্ধ বাতিল না করা, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন করা, অনলাইনে মনোনয়ন জমার সুযোগ, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বজায় রাখার জন্য বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্দিষ্ট সময়ে একাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা।
এদিকে আজ বেলা ৩টায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী এ সংলাপ করছে ইসি। সুশীলসমাজ, গণমাধ্যমের পর ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।