হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
বাংলাদেশের জন্য বর্তমান বছর কি বন্যার অভিশাপের বছর হিসাবে ইতিহাসে চিহ্নিত থাকবে? প্রথম দিকে ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢলে হাওরাঞ্চলে বন্যা। এর পর উত্তরবঙ্গে উত্তর থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যা। এরপর তৃতীয় বন্যা অবশ্য প্রকৃতি-সৃষ্ট বন্যা নয়, মনুষ্যসৃষ্ট সে বন্যার শিকার ছিল মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত নির্যাতিত রোহিঙ্গারা। তাদের অপরাধ তারা ধর্মবিশ্বাসে মুসলিম আর মিয়ানমারের অধিকাংশ মানুষ বৌদ্ধ। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতন ও একের পর এক রোহিঙ্গা-পল্লীতে অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গাদের পক্ষে তাদের জন্ম ভূমি ত্যাগ করে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিলনা। এর ফলেই মনুষ্য সৃষ্ট এ বন্যা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বন্যা।
এ সমস্যার ইতিহাস সন্ধান করতে গেলে দেখা যায়, মিয়ানমার তথা এককালের বার্মার স্বাধীনতা সংগ্রামের যারা নায়ক ছিলেন তাদের চোখে বার্মার নাগরিকদের ধর্মীয় ভিত্তিতে কোন বৈষম্য-চিন্তা ছিল না। উ-নু থেকে শুরু করে আউংছান পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল নেতাই বিশ্বাস করতেন ‘বর্মা বর্মীদের জন্য’ এই জাতীয়তাবাদী নীতিতে। কিন্তু বার্মার সা¤্রাজ্যবাদী বৃটিশ শাসকরা তাদের চিরাচরিত ‘ভেদ করো ও শাসন করো নীতির অনুসরণে’ প্রচার শুরু করে দিলো, বার্মা বর্মী বৌদ্ধদের জন্য। এর ফলে বার্মার বৌদ্ধদের মনে এ ধারণা সৃষ্টি হলো যে বর্মায় বসবাসরত মুসলমানরা বহিরাগত। আজ যে রোহিঙ্গাদের সম্বন্ধে বর্মী বৌদ্ধদের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি ও পাকাপোক্ত হয়েছে, তার মূলে রয়েছে এই বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদী চক্রান্ত। নইলে পৃথিবীতে শুধু এক ধর্মের লোক বাস করে এমন দেশ খুঁজে পাওয়া ভার। বাংলাদেশ মুসলমান প্রধান দেশ হওয়া সত্তে¡ও এখানে বাস করে বহু হিন্দু, খৃস্টান। এমন কি বহু বৌদ্ধও। সেক্ষেত্রে বার্মা তথা মিয়ানমারে বাস করবে বহু মুসলমান তাতে আর বিচিত্র কি। অথচ সা¤্রাজ্যবাদী বৃটিশের প্রচারণাকে ভিত্তি করে আজ সৃষ্টি হয়েছে যে সমস্যা তার শিকার হচ্ছে লাখ লাখ নিরীহ নারী-পুরুষ শিশু রোহিঙ্গা।
এখানে উল্লেখ্য যতদিন বার্মায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল ততদিন সমস্যা তেমন জটিল হয়ে উঠতে পারেনি। উ-নু থেকে আউংছান পর্যন্ত শাসকদের আমলে বার্মায় বৌদ্ধও-মুসলমানদের মধ্যে যথেষ্ট সৌহার্দ্য বিদ্যমান ছিল। ১৯৫৮ সালে প্রধানমন্ত্রী দেশে শান্তি-শৃংখলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সামরিক বাহিনী প্রধান জেনারেল নে-উইনের নেতৃত্বাধীন একটি তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে দেশের শাসনভার অর্পন করেন। ১৯৬০ সালে পর্যন্ত জেনারেল নে-উইন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী উ-নুর কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেন।
১৯৬০ সালে ক্ষমতা গ্রহণকালে প্রধান মন্ত্রীর উ-নু বার্মা ফেডারেশনের অধীন সংখ্যালঘু সমস্যার সমাধানের জন্য সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রোহিঙ্গারা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। উ-নু সরকার উত্তর আরাকানের রোহিঙ্গা প্রধান অঞ্চল নিয়ে গঊণট ঋজঙঘঞওঊজ অউগওগওঝঞজঅঞওঙঘ গঠন করে এ অঞ্চলকে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নিয়ে আসে। আরাকানের মগ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী প্রভাবিত স্টেট সরকারের নির্যাতন থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা করার জন্য গহীত উদ্যোগকে হাস্যাষ্কদ বলে অবহিত করেন, যদিও রোহিঙ্গারা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
১৯৬০ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী উ-নু রেংগুন বেতার কেন্দ্র হতে রোহিঙ্গাদের জন্য রোহিঙ্গা ভাষায় একটি অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্থা করেন। বার্মার বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বার্মার একটি বুনিয়াদী জাতি হিসাবে অবিহিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী উ-নু রোহিঙ্গাদের একটি শান্তি প্রিয় জাতি হিসাবে অভিহিত করেন। এই অনুষ্ঠানে বার্মার ভাইস চীফ অব স্টাফ ব্রিগেডিয়ার অংজী যে ভাষণ দেন তাতে উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গারা আরাকানেরই শান্তিপ্রিয় নাগরিক। বার্মা সরকারের তরফ থেকে শুধু ভুল বুঝাবুঝির কারণে রোহিঙ্গাদের প্রতি বহু অন্যায় করা হয়েছে যা ভুল বুঝাবুঝির অপসারণের মাধ্যমে দূরীভূত হয়েছে। পৃথিবীর সব সীমান্তে একই জাতি সীমান্তের দুই পারে বসবাস করে। এজন্য কোন নাগরিকের জাতীয়তা প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া উচিত নয়।
এসব কথার পর রোহিঙ্গা নিয়ে নতুন ভাবে কথা উঠা উচিৎ নয়। দুর্ভাগ্যের কথা, ১৯৬২ সালের ২ মার্চ জেনারেল নেউইন সামরিক সরকার গঠন করে ক্ষমতা দখল করার পর রোহিঙ্গাসহ বার্মার সকল সংখ্যালঘু জাতিসমূহের সাংবিধানিক সকল অর্জিত অধিকার বাতিল করে দেয়। ফলে রোহিঙ্গারা যে তিমিরে সে তিমিরেই রয়ে যায়।
এখানে বার্মার নাগরিকত্ব আইনের উপর দুটি বিখ্যাত মামলার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। এর একটি হাসান আলী ও মুসা আলী মামলা, আরেকটি বনসিলালের নাগরিকত্ব মামলা। ১৯৫৮ সালে জেনারেল নেউইনের নেতৃত্বাধীন সরকার বার্মার প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণের পর আরাকানের রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। এই উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হয়ে প্রায় বিশ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে কক্সবাজার সীমান্তে যায়। এ অবস্থায় তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর জাকির হোসেনের নেতৃত্ব বার্মা সরকারের প্রতিনিধির সাথে আলোচনা হয়। বর্মী সরকারের পক্ষ থেকে একে আরাকানে বসবাসকারী সাম্প্রদায়িক মগ গোষ্ঠীর কারসাজি বলে অভিহিত করা হয়। আলোচনার মাধ্যমে শরণার্থীদের বার্মায় ফিরিয়ে নেয়া হয়।
এই উচ্ছেদ কালে বার্মার মংগড়– মহকুমা হতে শতাধিক রোহিঙ্গাকে বন্দী করা হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশ নির্দিষ্ট ফর্মে আদেশনামা জারী করে দস্তখত করে তাদের বার্মা থেকে বিতাড়নের জন্য রেংগুনে নিয়ে যাওয়া হয়। বন্দীদের মধ্যে হতে হাসান আলী ও মুসা আলী নামক দুই ব্যক্তি বার্মার সুপ্রিম কোর্ট বরাবর ফরিয়াদ জানায় যে, তাদের অন্যায়ভাবে বন্দী করা হয়েছে। তাদের দাবী তারা বর্মার বৈধ নাগরিক। তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি। মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট সকল শুনানীর শেষে বার্মার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ও মÐু প্রশাসনের কার্যকলাপকে বেআইনী ঘোষণা করে সকল বন্দীকে মুক্তি দানের নির্দেশ জারী করেন।
দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন বনসিলাল নামের জনৈক বার্মিজ নাগরিক। তিনি বার্মার বাসিন্দা হয়েও বহিরাগতদের ফরেন রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করেন। নির্দিষ্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্ড নবায়ন না করায় বার্মার নাগরিকত্ব আইনে তিনি অভিযুক্ত হন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয় যেহেতু তিনি এফআরসি (ফরেন রেজিস্ট্রেশন কার্ড) সংগ্রহ করেছেন, তাই তিনি বার্মার নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে মাননীয় আদালত বলেন, এফআরসি গ্রহণ করলে কেউ নাগরিকত্ব হারায় না। যেহেতু বনসিলাল বার্মায় জন্মগ্রহণ করেছেন, প্রতিপালিত হয়েছেন এবং স্বীয় আবাস গ্রহণ করেছেন অতএব তিনি বার্মার নাগরিক।
আসলে বার্মার রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষে অধিষ্ঠিত এক শ্রেণীর লোক বার্মার আইনের মূলসূত্র যে ‘বিভিন্নতার মধ্যে ঐক্য’এই সত্যটা উপলব্ধি করতে প্রায়ই ভুল করেন। প্রকৃত প্রস্তাবে ইউনিয়ন অব বার্মা একটি বহু জাতিক দেশ। বার্মার সংবিধানে প্রায়, একশত চল্লিশটি জাতির নাম উল্লেখের পরও ইত্যাদি বলে শেষ করা হয়েছে। এর অর্থ বার্মার উল্লেখিত ১৪০টি জাতিসত্ত¡া ছাড়াও আরও বহু জাতি আছে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। উইনিয়ন অব বার্মার সাংবিধানে বুনিয়াদি জাতির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে ‘যে সমস্ত জাতিগোষ্ঠী বর্তমান ইউনিয়ন অব বার্মার স্বীকৃত ভূখÐে ১৮২৩ সালের পূর্ব হতে জাতিগতভাবে কিংবা গোষ্ঠীগতভাবে বসবাস করে আসছে, তারা বুনিয়াদি জাতিহিসাবে পরিগণিত হবে’। নাগরিক আইনের অধীনের ১২ (১) ধারা মতে বুনিয়াদি জাতির যে কোনো সদস্য বার্মার নাগরিক। বর্মা ইউনিয়নের বহু জাতির মধ্যে বর্মী অন্যতম জাতি। অবশ্য জনসংখ্যার দিক দিয়ে অন্য সব জাতির মিলিত জনসংখ্যার চাইতেও তারা অধিক। স্বাধীনতা উত্তর বার্মার প্রধানমন্ত্রী উ-নু নেতৃত্বাধীন অঋচঋখ নেতৃবৃন্দ বর্মী ভাষা ও বর্র্মী সংস্কৃতিতে বৌদ্ধ ধর্মীয় বিশ্বাসের কাঠামোকে সম্পৃক্ত করে সমগ্রা বার্মার জাতিসমূহকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়। বার্মার সামরিক সরকার বর্মী ঐক্যের এই কাঠামোকে আরও শক্তিশারীর সকল সংখ্যালঘু সমূহের তা উপর চাপিয়ে দেয়ার প্রয়াস পায়। বর্মী নেতৃত্বের এই সম্প্রসারণবাদী ও আধিপত্যবাদী রাজনৈতিক সংস্কৃতি সমগ্রা বার্মার সংখ্যালঘু জাতিসমূহ মেনে নিতে পারছে না। তারা মনে করে মিয়ানমার নেতৃত্বকে সংখ্যালঘু জাতিসমূহের আস্থা অর্জনে আরও অধিক মনোযোগী হতে হবে।
এখানে বার্মার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়। ১৯৪৬ সালের মধ্যভাগে জেনারেল আউংছান তদানীন্তন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার এটলীর সাথে গোলটেবিল বৈঠকে মিলিত হয়ে তাঁর নেতৃত্বাধীন অঋচঋখ সরকারের অধীনে সমগ্রা বার্মার স্বাধীনতা হস্তান্তর করার দাবী জানান। কিন্তু বার্মার স্বাধীনতার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত বৈঠকের আগেই পাহাড়ী জাতিসমূহের যথা শান, কারেন, কায়া, মুন, সির, কাচীন প্রভৃতি জাতির নেতৃবৃন্দ বর্মী নেতৃবৃন্দের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা গ্রহনে অস্বীকৃত জানান। স্যার এটলি সমগ্র বার্মার স্বাধীনতার দাবীকে গ্রহণযোগ্য করতে সংখ্যালঘু জাতিসমূহের সম্মতি প্রয়োজন বলে তাদের অবহিত করেন। তাই বার্মায় বসবাসকারী সকল জাতিগোষ্ঠীর সম্মতির জন্য ঐতিহাসিক প্যানলং সম্মেলন আহŸান করা হয়।
প্যানলং বার্মার শান স্টেটের অন্তর্ভুত একটি পার্বত্য শহর। ১৯৪৭ সালের ১ ফেব্রæয়ারী প্যানলং সম্মেলনের কাজ শুরু হয়। জেনারেল আউংছান পাহাড়ী জাতিসমূহকে একথা বুঝাতে সক্ষম হন যে, শান, কাচিন, সীন প্রভৃতি জাতিসমূহের স্বাধীনতা দ্রæততার সাথে অর্জন সম্ভব হবে যদি তারা বার্মার অর্šÍবর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে। আউংছান সমগ্র বার্মার ঐক্যের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন বিভিন্নতার মধ্যে ঐক্য’ই হবে এই ঐক্যের স্বরূপ। তিনি আরও ঘোষণা দেন যে, প্রত্যেক জাতি সব এলাকায় নিজেদের প্রতিনিধিদের দ্বারা শাসিত হবেন। প্রত্যেক জাতির ধর্মীয় অধিকার, সংস্কৃতি ও ভাষা অক্ষুন্ন রাখা হবে। স্বাধীনতার দশ বছর পরীক্ষামূলকভাবে ফেডারেল সরকারের অধীনে থেকে যদি ইচ্ছা করে শান এবং কায়া স্টেট স্বাধীন হয়ে যাবার অধিকার পাবে। তবে প্যানলং সম্মেলনের এসব অধিকার বার্মার কোন সরকার পরবর্তীকালে রক্ষা করেননি।
এ ব্যাপারে অবশ্য সাম¯্রাজ্যবাদী শাসক বৃটেনেরও বিশেষ প্ররোচনা ছিল বলে অনেকে মনে করেন। বার্মার স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল শ্লোগান ছিল: বার্মা ফর বার্মিজ। অথচ বৃটিশ শাসকদের প্রচেষ্টা ছিল তাদের শ্লোগান হোক বার্মা ফর বার্মিজ বুদ্ধিষ্টস অর্থাৎ বার্মা হোক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বার্মিজদের জন্য। এতে মুসলিম বার্মিজদের জন্য নিরাপত্তা বিপন্ন হয়। বার্মায় বসবাসকারী রে’গুনস্থ বৃটিশ জেনারেলের কাছে এ ব্যাপারে প্রতিকারের আবেদন জানালে গর্ভনর জেনারেল এব্যাপারে কর্নপাত করেননি। এমন কি মুসলিম নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎদানও করেননি। সেই নিরিখে বলা যায় বার্মায় বর্তমানে যে রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযান চলেছে তা বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদের শুরু করা মুসলিম বিরোধী ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায়ই পরিচালিত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।