Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাখাইনের সহিংসতায় মিয়ানমারকে সমর্থন চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অব্যাহত রোহিঙ্গা নিধনকান্ডে আন্তর্জাতিক নিন্দা ও সমালোচনার মুখেও নীরবতা ভেঙে মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন দিয়েছে চীন। গতকাল এ ইস্যুতে বার্মিজ কর্তৃপক্ষের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছে চীন। তবে সেখানে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ বজায় রাখতে মিয়ানমার সরকার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়েরও একে সমর্থন জানানো উচিত। আশা করি, সেখানে যত দ্রæত সম্ভব স্বাভাবিক জীবনযাপন ফিরিয়ে আনা হবে। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের প্রাক্কালে গতকাল এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিনের। দুই দেশেই অধিকাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মিয়ানমারের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। জাতিসংঘের কূটনীতিকদের অভিযোগ, এর আগেও রোহিঙ্গা-সঙ্কটকে জাতিসংঘের শীর্ষ কাউন্সিলে উত্থাপনে বিরোধিতা করে বেইজিং।
মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই মিলতে থাকে বেসামরিক নিধনের আলামত। পাহাড় বেয়ে ভেসে আসতে শুরু করে বিস্ফোরণ আর গুলির শব্দ। পুড়িয়ে দেওয়া গ্রামগুলো থেকে আগুনের ধোঁয়া এসে মিশতে থাকে মৌসুমী বাতাসে। মায়ের কোল থেকে শিশুকে কেড়ে শূন্যে ছুড়তে থাকে সেনারা। কখনও কখনও কেটে ফেলা হয় তাদের গলা। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় মানুষকে। আহত শরণার্থী হয়ে তারা ছুটতে থাকে বাংলাদেশ সীমান্তে।
জাতিসংঘের হিসাবে, এবারের রোহিঙ্গাবিরোধী সহিংসতায় গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন তিন লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের প্রবেশের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে আরও অনেক বেশি। ১৯৭০ সালে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় বার্মিজ কর্তৃপক্ষ। নতুন মাত্রা পায় রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন। সেই থেকে এ পর্যন্ত জীবন বাঁচাতে দেশটি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। নিজ দেশের বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের এমন ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও তুরস্কসহ মুসলিম দেশগুলো।
গত সোমবার হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মেলনে চলমান সঙ্কট উত্তরণে মিয়ানমারকে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়। তবে সংবাদ সম্মেলনে রাখাইনের দুর্গত মানুষের ‘রোহিঙ্গা’ পরিচয়টি একবারও ব্যবহার করা হয়নি। আর মিয়ানমারকে ডাকা হয়েছে ঔপনিবেশিক বার্মা নামে। তবে আঞ্চলিক পরাশক্তি চীন খোলাখুলিভাবেই বার্মা’র প্রতি তার সমর্থনের জানান দিয়েছে। সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট, স্ট্রেইট টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ